যেসব কারণে রোযা ভেঙ্গে যায় এবং কাজা ওয়াজিব হয়

প্রকাশিত: ১২:১৬ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০১৯

মোহাম্মদ ইমরান হুসাইন::  আমাদের দুয়ারে কড়া নেড়েছে মহিমান্বিত মাস রমজান। রমজান রহমতের মাস। বরকতের মাস। নাজাতের মাস। রাশি রাশি পুণ্যের মাস। কল্যাণ লাভের অনুপম উপলক্ষের মাস। জীবনের অতীত গোনাহ মোচনের মাস। মহান রবের নৈকট্য অর্জনের মাস। এ মাসে মুমিন-মুসলমানরা রোজা রাখেন। আসুন ,যেসব কারণে রোযা ভেঙ্গে যায় এবং কাজা ওয়াজিব হয় এমন কয়েকটি মাসায়ালা জেনে রাখি।

১।কানে বা নাকে ওষুধ দিলে

২।ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি করলে বা অল্প বমি আসার পর তা গিলে ফেললে

৩। কুলিকরার সময় অনিচ্ছাবশত কন্ঠনালীতে পানি চলে গেলে

৪।বউ বা কোনো নারীকে শুধু স্পর্শ প্রভৃতি করার কারণেই বীর্যপাত হয়ে গেলে

৫।এমন কোন জিনিষ খেলে যা সাধারণত খাওয়া হয় না, যেমন কাঠ লোহা পাথর মাঠি কয়লা ইত্যাদিফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/২০২, রদ্দুল মুখতার : ৩/৩৯৪।

৬।বিড়ি সিগারেট বা হুক্কা সেবন করলে(রদ্দুল মুখতার ৩,৩৬৬)

৭।আগরবাতি প্রভৃতির ধোঁয়া ইচ্ছাকৃতভাবে নাকে বা হলকে পৌঁছালেরদ্দুল মুখতার: ৩/৩৬৬,৩৬৭

৮।ভুলে পানাহার করার পর রোযা ভেঙ্গে গেছে মনে করে আবার ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কিছু পানাহার করলে।ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/২০৬।

৯।রাত আছে মনে করে সুবহে সাদেকের পরে সেহরী খেলে

১০।ইফতারির সময় হয়নি,দিন রয়ে গেছে অথচ সময় হয়ে গেছে এই মনে করে ইফতারী করলে।

১১।দুপুরের পর রোযার নিয়ত করলে।

১২।দাঁত দিয়ে রক্ত বের হলে তা যদি থুথুর চেয়ে পরিমাণে বেশী হয় এবং কন্ঠনালীর নিচে চলে যায়।

১৩।কেউ জোরপূর্বক রোযাদারের মুখে কোন কিছু দিলে এবং তা কণ্ঠনালীতে পৌঁছে গেলে।

১৪।দাঁতে কোন খাদ্য টুকরো আঁটকে ছিলো সুবহে সাদেকের পর তা যদি পেটে চলে যায় তবে সে টুকরো ছোলা বা বুটের চিয়ে ছোট হলে রোযা ভেঙ্গে যায় না তবে এরুপ করা মাকরুহ। কিন্তু মুখ থেকে বের করার পর গিলে ফেললে তা যতই ছোট হোক না কেন রোযা কাযা করতে হবে।ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/২০২, রদ্দুল মুখতার : ৩/৩৯৪।

১৫।হস্তমৈথুন করলে যদি বীর্যপাত হয়রদ্দুল মুখতার: ৩/৩৭১, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/২

১৬।পেশাবের রাস্তায় বউ এর যোনিতে কোন ওষুধ প্রবেশ করালে।

১৭।পানি বা তেল দ্বারা বিজা আঙ্গুল যোনিতে বা পায়খানার রাস্তায় প্রবেশ করালে।

১৮।শুকনা আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে পুরোটা বা কিছু টা বের করে আবার প্রবেশ করালে। আর যদি শুকনো আঙ্গুল একবারে প্রবেশ করিয়ে একবারেই পুরোটা বের করে নেয়,আবার প্রবেশ না করায়, তাহলে রোযার অসুবিধা হয় না।

১৯।মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে গেলে এবং এ অবস্থায় সুবহে সাদেক হয়ে গেলে।

২০।নস্যি গ্রহন করলে বা কানে তেল ঢাললে

২১।কেউ রোযার নিয়তই যদি না করে তাহলে ও শুধু কাযা ওয়াজিব হয়

২২। বউ বেহুঁশ থাকা অবস্থায় কিংবা বে খবর ঘুমান্ত অবস্থায় তার সাথে সহবাস করা হলে ঐ বউএর উপর কাযা ওয়াজিব হবে

২৩।রমযান ব্যতীত অন্য নফল রোযা ভঙ্গ হলে শুধু কাযা ওয়াজিব হবে।

২৪।এক দেশে রোযা শুরু করার পর অন্য দেশে চলে গেলে সেখানে যদি নিজের দেশের তুলনায় আগে ঈদ হয়ে যায় তা হলে নিজের দেশের হিসাবে যে কয়টা রোযা বাদ গেছে তার কাযা করতে হবে। আর যদি সেখানে গিয়ে রোযা এক দু টো বেড়ে যায় তাহলে সেই দুটো রাখতে হবে।

এমএম/

Comments