ইফোর্ট টি শার্ট যেন চলন্ত বিলবোর্ড; সমাজ পরিবর্তনের শ্লোগানে তারুণ্যে ব্যাপক সাড়া

প্রকাশিত: ১০:০৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯

একুশ ডেস্ক: টি-শার্ট বর্তমান সমাজে প্রচলিত সর্বজনবিদিত পোশাকের মধ্যে একটি। এর উৎপত্তি পাশ্চাত্যে হলেও আমরা একটু নজর প্রসারিত করলেই দেখতে পাবো এটা মূলত গ্রাম বাংলায় শত বছর ধরে প্রচলিত ‘গেঞ্জি‘র ই আধুনিক রুপ।

শুধুমাত্র নামটাই বিদেশ থেকে আমদানিকৃত। তবে পার্থক্য যে একেবারে নেই তা নয়- প্রথমত, আমাদের পূর্বপুরুষেরা গেঞ্জি সাধারণত সাদা রঙেরই পরতে পছন্দ করতেন। আর এর মধ্যে দিয়েই প্রকাশ পেত তাদের আভিজাত্য।

অভিজাত লোকেরা সমাজে গেঞ্জি পরে বের হওয়াটাকে অসম্মানজনক মনে করতেন বলে গেঞ্জির স্থান হতো পাঞ্জাবির নিচে এবং গৃহের অভ্যন্তরে। তবে সেটা ছিলো হাতা কাটা গেঞ্জি। হাফ হাতাওয়ালা গেঞ্জিও সেময় ছিলো এখনো আছে। হাফ হাতা গেঞ্জিরই আধুনিক রুপ টি-শার্ট। বর্তমান সময়ে সব বয়সের মানুষ, বিশেষ করে তরুনদের প্রধান পছন্দ টি-শার্ট।

ফটোর কোনো বর্ণনা উপলব্ধ নেই।

বাংলাদেশের জলবায়ুর জন্য উপযোগী ও আরামদায়ক বলেই হয়তো এটা পছন্দের তালিকায় এসেছে। বাংলাদেশে এর প্রচলন খুব বেশি পূরনো না হলেও এই অল্পদিনে জয় করেছে সবার মন। কিছুকাল আগেও আমাদের দেশের বিজ্ঞজনেরা প্রচলিত টি-শার্ট এড়িয়ে চলতেন। কিন্তু বর্তমানে তারাও যোগ দিয়েছেন এই দলে। কারন টি-শার্ট আজ তার পোষাকের পরিচয় ছাপিয়ে ‘চলন্ত বিলবোর্ড’ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে।

এর গায়ে লেখা বিভিন্ন শ্লোগান সমাজ সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে অবিরাম। এই শ্লোগান দিয়ে সমাজকে পরিবর্তনের পাশাপাশি মানুষের ভিতরটাকে পরিবর্তন করা তথা এক ধরনের ‘দাওয়াতী কাজের’ মিশন নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশের অন্যতম টি-শার্ট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘ইফোর্ট বিডি’।

ফটোর কোনো বর্ণনা উপলব্ধ নেই।

ইতোমধ্যেই তাদের ব্যতিক্রমী শ্লোগান সম্বলিত টি-শার্ট সারাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। মূলত অনলাইন মাধ্যমে ব্যাবসা শুরু করলেও বর্তমানে তাদের রয়েছে বিশাল পাইকারী বাজার। নিজস্ব কারখানায় প্রস্তুতকৃত তাদের পণ্যগুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছে সারাদেশব্যাপী। তাদের চেয়ে নিম্নমানের পণ্য অনলাইন মার্কেটে যে দামে বিক্রি হচ্ছে ইফোর্ট বিডি সেই পণ্য দিচ্ছে তার প্রায় অর্ধেক মূল্যে।

ক্রেতার সাধ্যের কথা বিবেচনা করেই মানের সাথে কোনো আপোষ না করে সর্বোচ্চ কম মূল্যে বিক্রি করছে তারা। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ইয়াসিন আহমাদ বলেন, আমরা শুধুমাত্র ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্যে না করে একটা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু করেছিলাম। অনলাইনের এই যুগে এসে আমি নিজেই কয়েকবার অনলাইনে পণ্য কিনে প্রতারিত হয়েছি। তখন থেকেই চিন্তা করছিলাম কিভাবে সম্ভাবনাময় এ মার্কেটপ্লেসটাকে মানুষের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে কাজে লাগানো যায়। এরপর অনেক ভেবেচিন্তে ‘ইফোর্ট বিডি’ নিয়ে মাঠে নামলাম। দামের সাথে মিলাতে গিয়ে মানের তারতম্য় হয় কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে ইয়াসিন আহমাদ বলেন, আমরা নিজস্ব কারখানায় কাজ করার কারনে আমাদের খরচ একটু কম। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো আমরা বেশি লাভে কম পণ্যের চেয়ে কম লাভে বেশি পণ্য মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর নীতিতে বিশ্বাসী।

ফটোর কোনো বর্ণনা উপলব্ধ নেই।

বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবছর আমরা বিভিন্ন স্থানে ‘বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র’ নিয়ে ক্রেতাদের ও শুভানুধ্যায়ীদের মুখোমুখি হই। সে অনুযায়ী এ বছরও বাংলাদেশের প্রখ্যাত দীনি শিক্ষাকেন্দ্র চরমোনাই বার্ষিক মাহফিলে আগামি ২০, ২১ ও ২২ ফেব্রূয়ারি থাকবো।

সাথে থাকবে আরো নতুন কয়েকটি ডিজাইনের টি-শার্ট ও মগ। সেখানে দেখা হতে পারে সবার সাথে। তিনি বলেন ইফোর্ট বিডির আজকের এই অবস্থানে আসার পিছনে কাজ করেছে একটা মহৎ উদ্দেশ্য ও মানুষের অকৃতিম ভালবাসা। একটা পণ্য হাতে পাওয়ার পরে ক্রেতাদের ভালবাসা ও আবেগঘন রিভিউ আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়।পরিশেষে ইফোর্ট বিডির উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য সবার কাছে দোয়া ও মূল্যবান পরামর্শ কামনা করেন তিনি।

ইফোর্টের ফেসবুক লিংক : https://www.facebook.com/effortbd/

Comments