ডাকসুর ভোটকেন্দ্র নিয়ে প্রশাসনের একপাক্ষিক আচরণের অভিযোগ প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯ ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র নিয়ে একপাক্ষিক আচরণ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমন অভিযোগ করেছেন প্রগতিশীল ছাত্রজোট। এই জোটের নেতাকর্মীরা সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এই অভিযোগ করেন। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই অভিযোগের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ডাকসুর গঠনতন্ত্র এবং ঐতিহ্যনুসারে ভোটকেন্দ্র হলে রাখা হয়েছে।এর কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আসিফুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নয়ন। জোটের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের দখলে রয়েছে। হলের মধ্যে সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নেই। ভোটকেন্দ্র হলে রাখা হলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে তারা শঙ্কা প্রকাশ করছেন। এই নিয়ে তারা প্রশাসনের কাছে বার বার দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু প্রশাসন একটি ছাত্রসংগঠনের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন বলে তারা অভিযোগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সম্পর্কে ছাত্রীদের অবহিত করার জন্য একটি লিফলেট দেয়ালে লাগালে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা। জোটের নেতারা বলেছেন, গত রবিবার রাতে কবি সুফিয়া কামাল হলে ডাকসুর লিফলেট দেয়ালে লাগিয়ে ছাত্রীদের অবহিত করার চেষ্টা করা হলে হল প্রশাসনের বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে কাজী মালিহা নামের ছাত্র ইউনিয়নের এক কর্মীকে। তবে, হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিতা রেজওয়ানা রহমান এই ঘটনা সম্পর্কে অবহিত না উল্লেখ করে একুশ নিউজকে বলেন, এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পর্কে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী একুশ নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য এবং ডাকসুর গঠনতন্ত্রনুসারে ভোটকেন্দ্র হলেই রাখা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। আগেও তো (১৯৯৪ সালে) ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে রাখার দাবি করা হয়েছিলো। তখনও কিন্তু এ দাবি মানা হয়নি। /আরএ Comments SHARES শিক্ষাঙ্গন বিষয়: