শাবিপ্রবির ছাত্র প্রতীকের আত্মহত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৫:৫২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০১৯ রেজাউল আলম, ঢাবি প্রতিনিধি: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী তাইফুর রহমান প্রতীকের আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধানে সুষ্ঠু তদন্ত ও এ ঘটনার সাথে জড়িত শিক্ষকদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বাংলা বিভাগের অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, “আমরা এ ঘটনার বিচার চাই। নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে এ ঘটনার সত্যতা উম্মোচন করা হোক। আর চাপ সৃষ্টি করলে কর্তৃপক্ষ সক্রিয় হবে।” ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন কবির বলেন, “শিক্ষকদের কথা শুনলে সবারই শ্রদ্ধা চলে আসে,কিন্তু এরকম ঘৃণ্য কথা শুনলে শ্রদ্ধা না এসে লজ্জা আসে৷ এ ঘটনা যদি আংশিক সত্যও হয় তবেও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোনো শিক্ষক এর দায় এড়াতে পারেন না৷” তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন,আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়৷ যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে হয় নির্দিষ্ট নিয়মে ,আত্মহত্যার মাধ্যমে নয়৷ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, “আজকে আমরা সবাই ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি। প্রতীক আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। বিশ্বাস করুন এরকম বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতীকরা ভেতরে ভেতরে গুমরে গুমরে মারা যাচ্ছে। প্রথম শ্রেণীতে প্রথম একজন শিক্ষার্থী তার সুপারভাইজার পাবেন না, এটাও আমাকে বিশ্বাস করতে হবে? কাজেই এটা যে ষড়যন্ত্র এ ব্যপারে আমার সন্দেহ নেই।” উল্লেখ্য,বিভিন্ন সূত্রে তাইফুর রহমান প্রতীকের স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় নম্বর কম পাওয়ার বিষয়টি জানা যায়। যেখানে প্রতীক স্নাতকে ৩.৮২ সিজিপিএ নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন সেখানে স্নাতকোত্তরে প্রথম সেমিস্টারে তার সিজিপিএ কমে হয় ৩.৫৮। আর দ্বিতীয় সেমিস্টারে তার সিজিপিএ ধ্বস নেমে হয় ৩.০৮। মাস্টার্সে দুই সেমিস্টার মিলিয়ে প্রতীক মেধাতালিকায় ৭ম স্থান অধিকার করেন। সাধারণত স্নাতকে ৩.২৫ সিজিপিএ পেলে একজন শিক্ষার্থী তার স্নাতকোত্তর কোর্স চলাকালীন নির্দিষ্ট বিষয়ের থিসিসের জন্য বিভাগে আবেদন করতে পারেন। সেই থিসিসের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে বিভাগের কোনো শিক্ষক দায়িত্ব পালন করে থাকেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় থিসিসের জন্য প্রথমে প্রতীক কোনো সুপারভাইজার পাচ্ছিলেন না এবং পরে যে সুপারভাইজার পেয়েছিলেন তার কম নাম্বার দেওয়ার ফলেই প্রতীক আত্মহত্যা করেছে। /আইকে Comments SHARES শিক্ষাঙ্গন বিষয়: