চলন্ত বাসে চবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টায় অভিযুক্ত চালক গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১২:৩১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০১৯

চবি প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অর্থনীতি বিভাগের এক ছাত্রীকে চলন্ত বাসে যৌন হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত বাস শনাক্ত ও চালক বিপ্লব দেবনাথকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার দিবাগত রাতে অক্সিজেন থেকে তাকে আটক করা হয়। দুপুরে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়েরের ১০ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ অভিযুক্ত বাস চালককে আটক করতে সমর্থ হয়। তবে এখনও পলাতক রয়েছে চালকের সহকারী। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশের একাধিক টিম।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, রাতে অক্সিজেন এলাকা থেকে বাসসহ চালককে আটক করে পুলিশের একটি টিম। পরে ওই ছাত্রী বাস ও চালককে শনাক্ত করলে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পলাতক বাসচালকের সহকারীকে আটক করতে আমাদের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে বাসের চালক ও তার সহকারীকে আসামি করা হয়।

উল্লেখ্য, ১১ এপ্রিল রাত ১০টা ৪২মিনিটে ভুক্তভোগী ছাত্রী তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানির পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন। যাতে তিনি লিখেন, ১১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে ঘটনাটি ঘটে।

সেদিন বিকেলে ক্লাস শেষ করে ভুক্তভোগী ছাত্রী আনুমানিক ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ১ নং গেইট হতে ৩ নং বাসে উঠেন। সেসময় তার এক বন্ধুও ছিল। তবে বাসের পেছন দিকে আসন না থাকায় চালকের সহকারীর সামনের আসনে বসেন তারা। ইতোমধ্যেই তার বন্ধুর কাজ থাকায় জিইসিতে নেমে যায়।

বাসটি নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় পৌঁছালে ওই ছাত্রী ছাড়া সব যাত্রী একে একে নেমে যায়। তিনি নিউমার্কেট মোড়ে নামার জন্য বাসেই অবস্থান করছিলেন। এমন সময় তাকে বাসে একা পেয়ে হঠাৎই বাসটি গন্তব্য বদল করে স্টেশন রোডের দিকে মোড় নেয় এবং গতি বাড়িয়ে দেয়।

ঘটনার তাৎক্ষণিকতায় কী হচ্ছিল বুঝতে পারছিলেন না ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। তখন তিনি বাসচালককে বাস থামাতে বললে চালকের সহকারী তার দিকে ছুটে আসে এবং ওই ছাত্রীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে।

সেসময় দম বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হলে, আত্মরক্ষার্থে ওই ছাত্রী তার ডান হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে চালকের সহকারীকে আঘাত করেন এবং চলন্ত বাস থেকে লাফ দেন।

ঘটনার সময় বাসের চালকও ‘ধর মেয়েটারে ধর’ বলে সহকারীকে উৎসাহ যোগাচ্ছিলো। পরে এক রিকশাচালকের সাহায্যে শরীরে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে ওই ছাত্রী বাসায় ফিরে আসেন।

Comments