আপত্তির পরও হলে হলে ব্যালট বাক্স

প্রকাশিত: ১১:৩৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট ও বাক্স পাঠিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামীকাল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রবিবার বিকালেই সিনেট ভবন থেকে হলগুলোতে ব্যালট বাক্স পাঠানো শুরু হয়।

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন দাবি নিয়ে রেজিস্ট্রার ভবনে যান প্রগতিশীল ছাত্রঐক্যসহ কয়েকটি প্যানেলের প্রার্থীরা। এসময় প্রার্থীরা একই প্লাটফর্ম থেকে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

স্মারকলিপিতে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন তারা। এরপরও হলে হলে ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু করে প্রশাসন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক আবদুল বাছির গণমাধ্যমকে জানান, সকালে প্রার্থীদের সামনে ব্যালট বাক্স খুলে দেখানো হবে এবং তারপর সিলগালা করা হবে।

ব্যালট বাক্স ছাড়াও সব কেন্দ্রে প্রার্থীদের এজেন্ট না থাকা, ভোট গ্রহণের সময় ‘স্বল্পতা’ এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে শঙ্কার কথা জানান ছাত্রলীগ বাদে অন্য সব প্যানেলের প্রার্থীরা।

স্বতন্ত্র প্রার্থী এ আর এম আসিফুর রহমান বলেন, ‘রাতে হলে ব্যালট পাঠিয়ে নির্বাচনকে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মতো কলঙ্কিত করতে চাচ্ছে প্রশাসন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। তবে আমরা আশা করি সকালে সব শিক্ষার্থী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। প্রশাসন সে নিশ্চয়তা দেবেন।’

সন্ধ্যায় জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অসীম সরকার বলেন, ‘ব্যালট আনতে আমাদের হল থেকেও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী গেছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করতে চাই, ব্যালট ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। এটা আমাদের নৈতিকতার প্রশ্ন।’

এর আগে বেলা সোয়া ৩টার দিকে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবহার ও সকালে ব্যালট বাক্স হলে প্রেরণের দাবি নিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয় ছাত্রলীগ ছাড়া অন্যসব প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারা ভোটের দিন সকালে ব্যালট বাক্স প্রেরণসহ কয়েক দফা দাবি করেন।

প্রথমে বামজোট, স্বতন্ত্র জোট, কোটা সংস্কার আন্দোলন, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্রমৈত্রী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কয়েকজন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপির মাধ্যমে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন।

Comments