আবরারের মৃত্যু: দ্বিতীয় দিনের মতো রাস্তায় শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০১৯

একুশ ডেস্ক: বাস চাপায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীতে টানা দ্বিতীয় দিনের মত রাস্তায় নেমে সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে নদ্দায় বসুন্ধরা গেইটে শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ চলছে। আগের দিন সকালে ঠিক ওই জায়গাতেই বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র আবরার নিহত হন।

এ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে বিইউপির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি), সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।

‘জাস্টিস ফর আবরার’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘আর কত রক্ত ঝরতে হবে রাস্তায়’- এরকম নানা স্লোগানে সড়কে নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছেন তারা।

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ফলে প্রগতি সরণি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পুলিশ কালাচাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড এবং কুড়িলে যানবাহন ডাইভারশনের ব্যবস্থা করেছে।

এর আগে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের দেয়া আট দফা দাবি আদায়ে আজ বুধবার দেশব্যাপী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেয়া আটদফা দাবি-

১. পরিবহন সেক্টরকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে এবং প্রতিমাসে বাসচালকের লাইসেন্সসহ সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেক করতে হবে।

২. আটক হওয়া চালক ও সম্পৃক্ত সকলকে দ্রুততম সময়ে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

৩. আজ থেকেই ফিটনেসবিহীন বাস ও লাইসেন্সবিহীন চালককে দ্রুততম সময়ে অপসারণ করতে হবে।

৪. ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সকল স্থানে আন্ডার পাস, স্পিড ব্রেকার ও ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।

৫. চলমান আইনের পরিবর্তন করে সড়কে হত্যার সঙ্গে জড়িত সকলকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

৬. দায়িত্ব অবহেলাকারী প্রশাসন ও ট্রাফিক পুলিশকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৭. প্রতিযোগিতামূলক গাড়ি চলাচল বন্ধ করে নির্দিষ্ট স্থানে বাসস্টপ এবং যাত্রী ছাউনী করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৮. ছাত্রদের হাফপাস অথবা আলাদা বাস সার্ভিস চালু করতে হবে।

এফএফ

Comments