স্বামীর গভীর প্রেম-ভালোবাসা চাও? নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৮:০৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০১৮ স্বামীর গভীর প্রেম-ভালোবাসা চাও?তাহলে তোমাকে কিছু কাজ করতে হবে। ★ স্বামী বাইরে থেকে এলে সাথে সাথে স্বাগতম জানানোর জন্য দরজায় এগিয়ে আসা এবং সালাম দিয়ে তার হাতে কোন বস্তু থাকলে তা নিজের হাতে নেয়ার চেষ্টা করা। ★সময় ও মেজাজ বুঝে স্বামীর সামনে প্রেম ভালবাসা মিশ্রিত বাক্যালাপ করা। তার সামনে তার প্রশংসা করা। সম্মান,মায়াবী,আবেদনময়ীও শ্রদ্ধা মূলক আচরণ করা। ★ স্বামীর পোশাক-আশাকের পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা। (পরিচ্ছন্ন পুরুষ মানেই তার স্ত্রী পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন)। রান্নার ক্ষেত্রে স্বামী যা পছন্দ করে তা নিজ হাতে প্রস্তুত করতে সচেষ্ট থাকা। ★সর্বদা স্বামীর সামনে হাসি মুখে থাকা। ★” তোমার পানে তাকালেই তার মন যেন আনন্দে ভরে যায়,পুলকিত হয় কলিজা- তাহলেই তুমি জান্নাতী ঈমানদার রমনী।”- বুখারী- মুসলিম। ★ স্বামীর জন্য নিজেকে সুসজ্জিত রাখা। শরীরে দুর্গন্ধ থাকলে বা রান্না ঘরের পোষাকে তার সম্মুখে না যাওয়া। মাসিক ঋতুর সময়ও সুসজ্জিত অবস্থায় থাকা। ★ স্বামীর সামনে কখনই নিজের কন্ঠকে উঁচু না করা। “নারীর সৌন্দর্য তার নম্র কন্ঠে।”-বুখারী-মুসলিম ★ সন্তানদের সামনে স্বামীর প্রশংসা ও গুণগান করা। ★ নিজের এবং স্বামীর পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনদের সামনে আল্লাহর কৃতজ্ঞতার সাথে সাথে স্বামীর প্রশংসা করা ও তার শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরা। কখনই তার বিরুদ্ধে তাদের নিকট অভিযোগ না করা। ★ সুযোগ বুঝে স্বামীকে নিজ হাতে লোকমা তুলে খাওয়ানো। ★ “স্বামীর ‘আসল’ আবেদনে সাথে সাথে নিজকে এলিয়ে দেয়া ★ কখনো স্বামীর আভ্যন্তরীন গোপন বিষয় অনুসন্ধান না করা। কেননা পবিত্র কুরআনের সুরা হুজুরাতের ১৩নং আয়াতে আল্লাহ্ বলেন, তোমরা কারো গোপন বিষয় অনুসন্ধান কর না।” আর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা কারো প্রতি কুধারণা থেকে বেঁচে থাক। কেননা ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা।” ★ স্বামী কখনো রাগান্বিত হলে চুপ থাকার চেষ্টা করা। সম্ভব হলে তার রাগ থামানোর চেষ্টা করা। যদি সে নাহক রেগে থাকে তবে অন্য সময় তার মেজাজ বুঝে মুহাসাবা করা ও সমঝোতার ব্যবস্থা করা। ★ স্বামীর পিতা-মাতাকে আপন করা, নিজের পক্ষ থেকে (সাধ্যানুযায়ী) কিছু হাদিয়া-উপহার প্রদান করা। ★সম্পদ- দারিদ্রতা সর্বাবস্থায় স্বামীর অভাব অনটনের সময় তাকে সহযোগিতা করা। ★স্বামীর অনুমতি ছাড়া; কখনই নিজ গৃহ থেকে বের না হওয়া। ★স্বামীর নির্দেশ পালন, তার এবং তার সংসারের খেদমত প্রভৃতির মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রতিদানের আশা করা। ★احسنت فرجها “শুধুই স্বামীর জন্যই সতীত্বকে মজবুতভাবে টিকিয়ে রাখবে।”মুসলিম৩/১৩৭ হে নারী, বিয়ে তাকে নয়, যে তোমার পুরো পৃথিবীকে পূর্ণ করবে। বরং বিয়ে তাকে করো, যে তোমার দ্বীন কে পরিপূর্ণ করবে। বিয়ে তাকে নয়, যে তোমাকে দামি দামি অলংকার, শাড়ি কিনে দিবে। বরং বিয়ে তাকে করো, যে তোমাকে পরিপূর্ণ পর্দা করতে সুযোগ-সুবিধা করে দিবে। বিয়ে তাকে নয়,যে তোমাকে নিয়ে রোজ শপিং, পার্কে যাবে। বরং বিয়ে তাকে করো,যে তোমাকে নিয়ে জন্নাতে যেতে চায়। Comments SHARES ইসলাম বিষয়: স্বামীর গভীর প্রেম-ভালোবাসা চাও?