সাত ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৬:০৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮ সাত ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা একুশ ডেক্স:দেশের সাতটি ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে। এর মধ্যে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ব ও তিনটি বেসরকারি ব্যাংক। গত বছরের সেপ্টম্বর পর্যন্ত এই সাতটি ব্যাংকে মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ছিলো ৯ হাজার ৪১৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। মূলধন ঘাটতিতে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ব চারটি ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা ও বেসিক ব্যাংকের ঘাটতি সাত হাজার ৬২৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং বেসরকারি তিনটি ব্যাংক কমার্স, ফারমার্স ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের এক হাজার ৭৯১ কোটি ২০ লাখ টাকা। আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল মতিনের এক প্রশ্নের উত্তরে পর্বে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সোমবার সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠক শুরুর পর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। ব্যাংক ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত ঘাটতি সোনালী ব্যাংক ৩১৪০ কোটি ৪১ লাখ টাকা রূপালী ব্যাংক ৬৮৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা জনতা ব্যাংক ১২৭২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বেসিক ব্যাংক ২৫২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ২৩১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ফারমার্স ব্যাংক ৭৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ১৪৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা অর্থমন্ত্রী বলেন, “রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে ২০০৫–২০০৬ অর্থবছর থেকে ২০১৬–২০১৭ অর্থবছর পর্যন্ত সরকার ১০ হাজার ২৭২ কোটি টাকার পুনঃমূলধনীকরণ সুবিধা দিয়েছে, যা ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোতে মূলধন হিসাবায়নে যুক্ত হয়েছে।” তিনি জানান, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে সরকারি ব্যাংকে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন ঘাটতি ছিল সাত হাজার ৫৬৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আর বেসরকারি ব্যাংকে উদ্বৃত্ত প্রভিশন রয়েছে এক হাজার ৭৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সামগ্রিকভাবে মোট ঘাটতি প্রভিশনের পরিমাণ ছয় হাজার ৩৪৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সোনালী ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দুই হাজার ৯০০ কোটি ৯১ লাখ টাকা, রূপালী ব্যাংকের এক হাজার ২৪৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, বেসিক ব্যাংকের তিন হাজার ৪২১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ১৯৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকের ঘাটতি ৮৬১ কোটি ৬১ লাখ টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১৫৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৮৯ কোটি ৯ লাখ টাকা প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে। ঋণের শ্রেণিমান অনুযায়ী প্রতিটি ব্যাংককে নির্ধারিত হারে প্রভিশন বা নিরাপত্তাসূচক অর্থ সংরক্ষণ করতে হয়। সাধারণ ঋণের বিপরীতে দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে শুরু করে ৫ শতাংশ প্রভিশন রাখার নিয়ম। আর নিম্নমান, সন্দেহজনক এবং মন্দ ঋণে যথাক্রমে ২০, ৫০ ও ১০০ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হয়। প্রভিশন ঘাটতি থাকলে কোনো ব্যাংক লভ্যাংশ দিতে পারে না। এর আগে গত জানুয়ারিতে অর্থমন্ত্রী সংসদে জানিয়েছিলেন, গত ১০ বছরে ১০ কোটি টাকার বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে যাদের, তাদের কাছ থেকে ৬৫ হাজার ৬০২ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব হয়নি। শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৫০ কোটি টাকা। Comments SHARES অর্থ-বাণিজ্য বিষয়: ফার্মাসব্যাংকরুপালিসোনালি