জবিতে বিভক্ত আওয়ামীপন্থী নীল দল; নিস্ক্রিয় বিএনপির সাদা দল

প্রকাশিত: ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০১৮

ইমরান খান, জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল দুই ভাগে বিভক্ত।

২০১৬-১৭ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই বিভক্তির সৃষ্টি হয়। যা এখনো অব্যহত রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলিয়ান জবি নীল দলের দুই ভাগে বিভক্তি নিয়ে আওয়ামীপন্থী অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ।

নাম প্রকাশ না কর শর্তে আওয়ামীপন্থী একজন শিক্ষক বলে সামনে জাতীয় নির্বাচন আর এখনো বিভক্ত জবি নীল দল।

নির্বাচনের নীল দলের সবাইকে এক হয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করতে হবে। কিন্তু এখনো বিভক্ত নীল দল।

শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভ ও নিজেরদের মাঝে নেতৃত্ব রাখার জন্য এই বিভক্তি করেছে তারা।

নীল দলের বিভক্তির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে জবি নীলদলের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন প্রায় দুই বছর আগে আদর্শ বহির্ভূত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে আমরা নতুন করে কমিটি ঘোষণা করেছি।

অনেক কলিগ ছিলো যারা আদর্শের না তাই তাদেরকে বাদ দিয়ে আমরা কমিটি করেছি।

নীল দল এক হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই রকম কোনো কিছু আমরা ভাবিও নাই।

যদি কেউ আদর্শহীন লোকদের ছেড়ে আমাদের সাথে আদর্শ চর্চা করতে আসে তাহলে আমরা তাদের স্বাগতম জানাবো।

জবি নীল দলের আরেকাংশের সভাপতি আইনুল ইসলাম বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রথম নীল দল গঠন করি।

এ দল গঠনকরার মধ্য দিয়ে আমরা দলের বিভিন্ন কর্মসূচী ও জাতীয় দিবসগুলো পালন করি।

২০১৬-২০১৭ সালে নীল দল নির্বাচনের সময় বিভক্তি হয়। দল দুগ্রুপে ভাগ হয়ে যায়।

আমাদের পক্ষ থেকে কয়েকবার আলোচনা করেছি এক হবার জন্য কিন্তু তারা এক হতে চেয়েও পরে পিছু হটেছে।

উপাচার্য মহোদয় আমাদের কোন পক্ষের কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করে না।

তিনি আমাদের নীল দল না করার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু আমরা আদর্শিক দিককে প্রাধান্য দিয়ে নীল দল গঠন করেছি।

অনুসন্ধানে জানা যায় ২০১৬-১৭ সালের নীল দলের নির্বাচন কেন্দ্র করে এই নীল দলের বিভক্তি ঘটে। তারপর থেকেই দুই অংশে বিভক্ত এই নীলদল।

তখনকার নীলদলের একটি অংশ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও অপর অংশ নির্বাচন না করে আলাদাভাবে কমিটি ঘোষণা করে। এই বিভক্তির কারণ নিজেদের মধ্যে গ্রুপিং।

মুলত ক্ষমতা নিজেদের মধ্যে রাখার কারণেই নীল দলের বিভক্তি ঘটেছে বলে অনেকই মনে করছেন।

অপরদিকে বিএনপি পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল প্রায় বিলুপ্ত অবস্থায়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাদের উল্লেখযোগ্য কোনো কাজকর্ম দেখতে পাওয়া যায় না।

কিছু দিন আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক জিয়ার শাস্তির প্রতিবাদে অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও এর কিছুই খুজে পাওয়া যায় নি জবি সাদা দলে।

বর্তমান প্রায় জনবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে দলটি। এই বিষয়ে জানার জন্য জবি সাদা দলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোশাররাফ হোসেন কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

/আরএ

Comments