ফটিকছড়িতে ফয়সাল হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে উপজেলা ছাত্রলীগরে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১২:১০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০১৮

এম ওমর ফারুক আজাদ, ফকিটছড়ি, চট্রগ্রাম: ফটিকছড়িতে ছাত্রলীগ কর্মী আলী আকবর (ফয়সাল) হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ।

গতকাল (১ সেপ্টেম্বও ) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের ফটিকছড়ি বাস ষ্ট্যান্ড এ উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রায়হান রুপুর সঞ্চালনায় ও সভাপতি জামাল উদ্দীন এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য মাঈনুল করীম সাওকী।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফয়সাল ছিল অন্যায়ের প্রতিবাদকারী। এলাকার অবৈধ বালু মহাল ও মাদকের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ভূমিকা রাখতো ফয়সাল। সে জন্য এলাকায় নানা অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত স্থানীয় ইউনুস মিয়া মনা, আবু তাহের, নুরুল আলম সওদাগর, ইব্রাহীম মনির মিলে ফয়সালকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। কিন্তু অর্ধমাস পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন আলী আকবর ফয়সাল এর হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি এটা দুঃখজনক।

এসময় বক্তারা ফয়সাল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। অন্যথা হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে গড়িমসি করলে ফটিকছড়িতে কঠিন কর্মসূচী দেবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা।

মানববন্ধনে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নিহত ফয়সালের পিতা আব্বাস আলী, মামলার বাদী ফয়সালের চাচা মুহাম্মদ ফারুক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ওমর ফারুক আসিফ, কামরুল হাসান চৌধূরী, পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম আবু শোয়াইব, ফটিকছড়ি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আলী সিকদার শুভ, পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দীন তুহিন, মাসুম, লেমন, জিকু চৌধুরী, পিয়াল চৌধুরী, সোলায়মান, রকি শীল, হাসান প্রমুখ।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, নাজিরহাট পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, স্থানীয় ইউপি সদস্য মুহাম্মদ সোলায়মান, ডা. সাধন নাথ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে উপজেলার খিরাম ইউনিয়নের ফুলতলী বাজারে ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সালকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় আহত হয় আজগর হোসেন, কদর আলী ও নঈম নামের আরো তিন জন। উত্তেজিত জনতা এর পরদিন খুনিদের ঘরবাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করে। ঘটনার পরদিন নিহত ফয়সালের চাচা ফারুক বাদী হয়ে ঐ এলাকার ইউনুস মিয়া মনা, আবু তাহের, নুরুল আলম সওদাগর, ইব্রাহীম মনিরসহ আরো ৮-১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ফটিকছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন।

/আরএ

Comments