ছাত্রলীগের আতিথেয়তায় মুগ্ধ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ৭:২৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০১৮

মোস্তাফিজ রাকিব, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষে দূর-দূরান্ত থেকে আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।এর মধ্যে ভর্তিচ্ছুদের প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহায়তা করা,চিকিৎসা সেবা,বিভিন্ন হলে আবাসনের ব্যবস্থাসহ নানা উদ্যোগ।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায় ইবি ছাত্রলীগ সভাপতি শাহিনুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের নেতৃত্বে ইবি ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরন করে নিচ্ছেন।

এছাড়া ইবি ছাত্রলীগ কতৃক অবিভাবকদের জন্য নির্মিত অবিভাবক কর্নারে অপেক্ষমান অবিভাবকদের সুপেয় পানির বোতল বিতরণ করা থেকে শুরু করে যেকোন প্রয়োজনে সদা তৎপর ছিলো ইবি শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিট।

অপরদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীদের আবাসনে যেন কোনো অসুবিধা নাহয় সেজন্য ইবি ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের নির্দেশে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হলগুলোর সামনে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছেন এবং কাজ করে যাচ্ছেন দিনরাত।রাতে প্রতিটি রুমে শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবের জন্য মশার কয়েল বিতরন করা হয়েছে,রয়েছে এন্টি র‍্যাগিং স্কোয়াড। অনেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী খোলা আকাশের নিচে নির্ঘুম রাত কাটিয়ে নিজ রুমে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ঘুমের জায়গা করে দিয়েছেন বলে জানা যায়।

এদিকে বরিশাল থেকে আগত ইশরাক নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন,অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছি কিন্তু ইবি ছাত্রলীগের বড় ভাইদের মতো এরকম ভালোবাসা কোথাও পাইনি,সে ছাত্রলীগের ভাইদের কৃতজ্ঞতা জানায়।

সিরাজগঞ্জ থেকে আগত এক মেয়ে শিক্ষার্থীর অবিভাবক জানান রাতে এখানে এসেছি কোথাও থাকার জায়গা হচ্ছিলো না শেষ পর্যায়ে ছাত্রলীগের একজন কর্মী এসে আমার মেয়েকে মেয়েদের হলে এবং আমাকে ছেলেদের হলে থাকার জায়গা করে দিয়েছেন।ইবি ছাত্রলীগকে তিনি ধন্যবাদ জানান।

উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বপ্রাচীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার নিজ ঐতিহ্য ও সুনাম রক্ষায় বরাবর শিক্ষাবান্ধব কাজে আত্মনিয়োগ করে থাকে বলে অভিমত দেন অনেকে।

ছাত্রনেতা ফয়সাল সিদ্দিকি আরাফাত বলেন,সারাদেশ থেকে আগত এসকল শিক্ষার্থীরা আমাদের ছোটো ভাই, তারা আমাদের অতিথি তাদের জন্য আমরা সবকিছু দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে তাদের কোনো ধরনের সমস্যা না হয়।

ভর্তি পরীক্ষাকালীন সার্বিক বিষয় নিয়ে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি আমার নেতাকর্মীদের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছি। তারা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগ একটি মানবকল্যাণে নিবেদিত শিক্ষাবান্ধব সংগঠন। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীদের এমন কষ্টের দিনে তাদের পাশে থেকে কষ্ট লাঘব করা আমাদের কর্তব্য।তিনি বলেন ইবি ছাত্রলীগ অতীতেও শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলো, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

মূলত ছাত্রলীগের এমন বন্ধুসুলভ আচরণে ব্যাপক প্রশংসা করেছেন সারা দেশ থেকে আগত শিক্ষার্থী ও অবিভাবকেরা।

/আরএ

Comments