কে পূরণ করবে রত্নগুলোর স্বপ্ন নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৫:৪০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০১৯ আব্দুল্লাহ আল মারুফ সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল(প্রতিবন্ধী) সূর্য। পরিবারের সকলের স্বপ্ন পূরণ করতেন তিনি। কিন্তু গত (১৩ এপ্রিল) শনিবার বেল দেড়টায় তাদের স্বপ্ন দুমড়েমুচড়ে দেয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন। একমাত্র উপজনকারীক্ষম ব্যক্তি হারিয়ে পরিবারটি এখন শুধু অন্ধকার। তার অসহায় তিনটি মেয়ে ও স্ত্রী আহাজারি করছে। তাদের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। সূর্য স্ত্রী হোসনে আরা একুশ নিউজ ২৪কে জানান,আমি এখন কিভাবে সংসার চালাবো মেয়ে তিনটি অবিবাহিত। জায়গা জমিও নাই থাকার মধ্যে শুধু দেড় ডিসিমাল জায়গায় একটি ঘড় রয়েছে। মেয়েগুলো এখনো পড়াশোনা করছে তাদের স্বপ্ন বড় হয়ে ডাক্তার হবে। বড় মেয়ে তাসলিমা(১৯) পিএসসি, জেএসসি, এসএসসিতে জিপিএ ৫পেয়েছে। এইচএসসি পাশ করে সিরাজগঞ্জ বেসরকারি নার্সিং পড়ছে। মেঝ মেয়ে ফামিদা তন্নী (১৭) পিএসসি,জেএসসি জিপিএ ৫ ওএসএসসিতে ৪.৬২ পেয়ে সরকারি হাজী কোরপআলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে মানবিক বিভাগে ভর্তি হয়েছে আর ছোট মেয়ে তিশা ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ে। এদের আমি কি ভাবে মানুষ করবো। তাসলিমা ও ফামিদা তার মাকে জড়িয়ে কান্না ভেঙ্গে পড়েন। মাঝে মাঝে ভাঙা ভাঙা কন্ঠে বেরিয়ে আসে বাবাকে নিয়ে নানা কথা। কে তাদের দেখবে? তাড়া কীভাবে পড়াশোনা করবে? আমার বাবার ইচ্ছা ছিল লেখা পড়া করিয়ে প্রতিষ্ঠিত করা। আমরা কি পারবো প্রতিষ্ঠিত হতে? এছাড়া সূর্যের স্ত্রী বলেন, ধার দেনা ও ব্যাংক থেকে ঋণ করে গাড়ি কিনেছিলো এখনো ও ব্যাংক আমাদের কাছে দেড় লাখ টাকা পাবে। এই টাকাই কিভাবে পরিশোধ করবো। দুমড়েমুচড়ে গাড়িটি ও পাবো কি না কে জানে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিহত প্রত্যেক পরিবারকে পঁচিশ হাজার করে টাকা দিয়েছি। বিধাবাভাতা দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া চলছে, সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে সেলাইমেশিন প্রশিক্ষণ দিবো ও সরবাহ করে দিবো। মেয়েদের পড়ালেখার সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য ভাবছি। ব্যাংকের লোনের বিষয়টি সংশ্নিষ্ট ব্যাংকে বলে সর্বোচ্চ সাহায্য করবো যদি ওই পরিবারটি যোগাযোগ করে। গাড়ির বিষয়টি জিআরপি অনুযায়ী কি হয় সেটা জানি না। বিআইজে/ Comments SHARES বিশেষ প্রতিবেদন বিষয়: