ইবিতে নতুন তিন অনুষদ চালু; বিভিন্ন মহলের ফুলেল শুভেচ্ছা

প্রকাশিত: ৭:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০১৮

মোস্তাফিজ রাকিব, ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয়েছে নতুন তিন অনুষদ। বুধবার পুরনো একটি অনুষদ ভেঙে নতুন এই অনুষদের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিকীকরণের পথে এগিয়ে নিতে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী’র (রাশিদ আসকারী)। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শাহিনুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সেলিম তোহা তার এ সাহসী ও দক্ষ নেতৃত্বকে সার্বিক সহযোগিতা করে চলেছেন সবসময়।

অতীতের সকল প্রশাসনের চেয়ে উন্নয়ন ও সফলতার শীর্ষে অবস্থান করছেন বর্তমান প্রশাসন। প্রশাসনের কর্ণধার এই ত্রীরত্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।যে কোনো সমস্যাকে তারা পাশ না কাটিয়ে তা সমাধানের চেষ্টা করছেন।

বর্তমান প্রশাসনের হাত ধরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আরও একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে ১৩ নভেম্বর।

শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ও আন্দোলনের অবসান ঘটিয়েছেন। তারা বিজ্ঞান অনুষদকে ভেঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স অনুষদ এবং বিজ্ঞান অনুষদ করেছেন।

এর ফলে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা একদিকে পাবে বিজ্ঞানের মান এবং অপরদিকে পাবে প্রকৌশলীর মান।

এছাড়া মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদকে ভেঙ্গে মানবিক অনুষদ এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ করেছেন। এখন থেকে ৫টি অনুষদের পরিবর্তে ৮টি অনুষদের অধীনে ৩৩টি বিভাগ পরিচালিত হবে।

এছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন হিসেবে প্রফেসর ড. মমতাজুল ইসলামকে, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন হিসেবে প্রফেসর ড. মহা. আনোয়ারুল হককে, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে প্রফেসর ড. এস এম মোস্তফা কামালকে, মানবিক অনুষদের ডিন হিসেবে প্রফেসর ড. নেছার উদ্দিন আহমদ এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে প্রফেসর ড. নাসিম বানুকে নিয়োগ দেন।

শিক্ষার্থীদের মাঝে এ খবর পৌঁছানো মাত্রই উল্লসিত হয়ে ওঠেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যেই সংবাদটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয় যা দেশব্যাপী আলোড়িত হয়েছে।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকেই ভাইস চ্যান্সেলরের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী (রাশিদ আসকারী), প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শাহিনুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সেলিম তোহাকে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগসহ বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

উল্লেখ্য ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ও ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবিতে ২০০৮ সালে বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।

তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর একই অনুষদের শিক্ষক হওয়ায় আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি পূরণের স্বপ্ন দেখে।

সে সময় ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেন এবং বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করলেও সফল হননি।

পরবর্তীতে এ দাবিতে আবারও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চলমান রাখে।অবশেষে বর্তমান প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করেন।

বর্তমান প্রশাসনের এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিকীকরণের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে বিভিন্ন মহল মনে করেন।

প্রসঙ্গত ইবির বর্তমান প্রশাসন একের পর এক যুগান্তকারী ও সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন এরই ধারাবাহিকতার ফসল।

/আরএ

Comments