স্ত্রীর পরকীয়া; ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়ে চিকিৎসকের আত্মহত্যা নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ২:৩৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯ একুশ ডেস্ক: চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার দুই নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাড়িতে নিজ বাসা থেকে মোস্তফা মোরশেদ আকাশ নামে এক চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আকাশ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বাংলাবাজার বরকল এলাকার মৃত আব্দুস সবুরের ছেলে। তিনি এমবিবিএস শেষ করে এফসিপিএস পড়ছিলেন। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৬টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত নায়েক মোহাম্মদ হামিদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ডা. আকাশকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আকাশ ইনজেকশন পুশ করে নাকি ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। ‘স্বজনরা জানিয়েছে রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে আকাশ আত্মহত্যা করেছে’। ডাঃ আকাশের ফেসবুকে মৃত্যুর আগে আবেগঘন স্ট্যাটাস লিখে যান স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে, তাঁর মৃত্যুর খবরের পর সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। আত্মহত্যার আগে আকাশ ফেসবুকে স্ত্রীকে নিয়ে আবেগঘন স্টাটাস দেন। স্টাটাসে পর পুরুষের সাথে স্ত্রীর কিছু অন্তরঙ্গ ফটো শেয়ার করেন আকাশ। তার স্টাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো: আমার সাথে তানজিলা হক চৌধূরী মিতুর ২০০৯ সাল থেকে পরিচয় প্রচন্ড ভালোবাসি ওকে। ও নিজেও আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমরা ঘুরে বেড়াই , প্রেম করে বেড়াই। আমাদের ভালোবাসা কম বেশি সবাই জানে। অনেকে বউ পাগলাও ডাকত। ২০১৬ তে আমাদের বিয়ে হয় বিয়ের কয়েকদিন আগে জানতে পারি কিছুদিন আগে শোভন নামে চুয়েটের ০৮ ব্যচের এক ছেলের সাথে ও হোটেলে রাত কাটায় আর কত কি লজ্জা লাগছে সব লিখতে। ততদিনে সবাইকে বিয়ের দাওয়াত দেওয়া শেষ আমাকে যেহেতু চট্রগ্রামের সবাই চিনে তাই বিয়ে ক্যান্সেল করতে পারিনি লজ্জাতে। ওর মোবাইল এ দেখি ভাইবারে দেখতে পাই মাহবুব নামে কুমিল্লা মেডিকেলের ব্যচম্যটের সাথে হোটেলে সেক্সের ছবি শতশত ছবি। আমিতো বেচে থেকেও মৃত হয়ে গেলাম। তারপর ক্ষমা চাইল শবে কদরের রাতে কান্না করে পা ধরে আর কখনো এমন হবে না। আমিও ক্ষমা করে দিয়ে ১বছর ভালভাবেই সংসার করলাম। তারপর ও দেশের বাইরে আমেরিকা গেল মাঝখানে একবার ঈদ পালন করতে আসল। সেপ্টেম্বরে ২০১৮ সালে আবার চলে গেল ইউএসএমএলই এর প্রিপারেশন নিচ্ছিল। সাথে ফেব্রুয়ারীতে ২০১৯ এ আমার ইউএস এ যাওয়ার কথা। জানুয়ারী ২০১৯ জানতে পারি ও রিগুলার ক্লাবে যাচ্ছে মদ খাচ্চে প্যটেল নামে এক ছেলের সাথে রাত কাটাচ্ছে। আমি বারবার বলছি আমাকে ভালো না লাগলে ছেড়ে দাও কিন্তু চিট কর না মিথ্যা বলো না। আমার ভালোবাসা সবসময় ওর জন্য ১০০% ছিলো। আমি আর সহ্য করতে পারিনি। আমাদের দেশেতো ভালবাসায় চিটিং এর শাস্তি নেই। তাই আমিই বিচার করলাম আর আমি চির শান্তির পথ বেচে নিলাম। তোমাদেরও বলছি কাউকে আর ভালো না লাগলে সুন্দর ভাবে আলাদা হয়ে যাও চিট করো না মিথ্যা বলো না।আমি জানি অনেকে বিশ্বাস করবে না এত অমায়িক মেয়ে…! আমিও এসব দেখে ভালোবেসেছিলাম। ভিতর বাহির যদি এক হত। সবাই আমার দোষ দিবে সবকিছুর জন্য তাই ব্যখ্যা করলাম। আমার শাশুড়ী এর জন্য দায়ী। এসবের জন্য, মেয়েকে আধুনিক বানাচ্ছে। একটু বেশি বানিয়ে ফেলেছে। উনি চাইলে এখনো সমাধান হত। ও মা তুমি মাফ করে দিও তোমার স্বপ্ন পূরন করতে পারলাম না। মায়ের ভালোবাসার কখনো তুলনা চলে না। বারবার বলছি ভালো না লাগলে আলাদা হয় যাও চিট করো না, মিথ্যা বলো না বিশ্বাস ভাঙ্গিও না। হাজার হাজার ছবি আছে আরো খারাপ খারাপ দিলাম না যারা বিলিভ করবে এতেই করবে , না করলে নাই। এই ৯ বছরে বয়ফ্রেনড স্বামী স্ত্রীর মত আবার সাথে সবি করে গেল। ও আমাকে আর কি ভালোবাসলো ? কিসের বিয়ে করলো?। আমি শেষ পর্যন্ত চাইছি সব চুপ রেখে সমাধান করে অকে নিয়ে থাকতে। আমার শশুড় আর শাশুড়ী কে বারবার বলছি উনারা সমাধান করতে পারত! আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার বউ। ৯ টা বছর যাকে ১০০% ভালবাসছি। ওকে প্ররোচণা দিয়েছে মইন মিথি নামে দুই ফ্রেন্ড। ওর মা বাবা আমাকে মানসিক কষ্ট দিয়ে মারছে। আমি এই বেইমানি মেনে নিতে পারিনাই। তারপর ও ভুলে আমি সুন্দর সংসার করতে চাইছি আমার শাশুড়ি শশুড় আর বউ নামের কলংক করতে দিলনাআমাকে প্রতি নিয়ত প্রেশার দিয়ে গেছে আমার বউ আমার মার নামে যা তা যা তা বলে গেছে। আমাকে ভালো না লাগ্লে ছেড়ে চলে যাইতে বলছি ১০০ বার। আমি বোকা ছিলাম তুমি সুখে থেকো। অনেকে ওর ফ্যান বিলিভ করবে না আমি জানি তবে এটাই সঠিক মরার আগে কেউ মিথ্যা বলে না আর বাইরে থেকে মানুষের ভিতরের চেহারা বুঝা যায় না। ও সুন্দরী, পড়াই ভাল, গান পাড়ে সত্য কিন্তু ও ভালো অভিনেত্রী ভালো চিটার। যাদের ইচ্ছা বিলিভ করবে যাদের ঈচ্ছা নাই করবে না। তবে কাউকে ভালোবেসে চিটার গিরি করো না। Mustafa Murshed Akash এর টাইমলাইন থেকে (বানান সংশোধনীসহ) /আরএ/ইমরান Comments SHARES সোশ্যাল মিডিয়া বিষয়: