বান্দরবানে আমের আগাম মুকুল; চাষীদের ভয় ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার

প্রকাশিত: ৫:১০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯

নুসিং থোয়াই মারমা, বান্দরবান প্রতিনিধি: আমের আগাম আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রুমা উপজেলায় বেথেল পাড়া, হ্যাপিহিল পাড়া, চাইরাগ্র পাড়া এলাকার সহ চিম্বুক রোডের ৭ মাইল ৯মাইল ১২ মাইল এলাকাতেও বেশ কিছু আম বাগানের মুকুল এসেছে।

আম বাগানের আগাম মুকুল দেখে আমচাষিরাও ভিষণ খুশি। তবে খুশি হলেও নায্যমূল্য না পাওয়ার ভয়ে হতাশাও রয়েছে অনেকের।

পাহাড়ে আমচাষী লাল সাং বম বলেন, আমি সারা মৌসুম বাগান আগাছা পরিস্কার করতে ব্যস্ত থাকি। গত বছরেও ভাল ফলন হয়েছে আশা করি এই বছরেও ভাল ফলন হবে।

চিংলুং লুসাই বলেন, আম প্রতিবছর বাম্পার ফলন হয় কিন্তু নায্যমূল্য না পাওয়ায় আমি প্রতিবছরই হতাশ, সাথে অনেক টাকা ক্ষতিও গুণতে হয়।

মেনপ্রো ম্রো বলেন, কষ্ট করে কেষ্ট মিলে না। আমের মৌসুম আসলে প্রতিমণ আমের দাম বিক্রি হয় ২০০/২৫০/ ৩০০/ ৪৫০/ সর্বোচ্চ ৫৮০ টাকায়। তবে চট্টগ্রাম অথবা ঢাকা থেকে আড়ৎতদাররা আসলে ভালো দাম পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন মেনপ্রো।

বান্দরবানে ফল গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা একুশনিউজ২৪ ডটকমকে জানিয়েছেন, এবার তীব্র শীতেই আমগাছে আগাম মুকুল এসেছে। তিনি জানান, শীতের কারণে এ মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে আবহাওয়ার উন্নতি হয়ে তাপমাত্রা একটু বাড়লে সমস্যা হবে না।

বান্দরবানে প্রতি বছরই কিছু আমগাছে আগাম মুকুল আসে। এবারও আসতে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশার কবলে না পড়লে এসব গাছে আগাম ফলন পাওয়া যায়। আর আবহাওয়া বৈরী হলে ফলন মেলে না।

তবে নিয়ম মেনে শেষ মাঘে যেসব গাছে মুকুল আসবে সেসব গাছে মুকুল স্থায়ী হবে বলেও তিনি জানান।

/এসএস

Comments