বিবাহ পূর্ব সম্পর্ক ও অন্যত্র বিবাহ হওয়ার পর করণীয় কী? ইসলাম কী বলে?

প্রকাশিত: ১:৩৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯

প্রশ্ন, আমি একজন সরকারি চাকরুরিজীবি। আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসতাম কয়েক বছর ধরে মেয়েটির বিবাহ হয় তার বাবা মার পছন্দের ছেলের সাথে। সে তার স্বামির বাড়িতে অবস্স্থান করতেছে। আমি এখনো বিয়ে করিনি। আমি তার চিন্তায় দিন দিন শেষ হয়ে যাচ্ছি। মেয়েটি এখনো আমার কাছে আসতে চায়। আমি আপনাদের সাজেশনের অপেক্ষায় আছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, মিরপুর।

উত্তর: শরীয়তের আলোকে বিবাহের পূর্বে বেগানা কোনো মেয়েকে ভালোবাসা সম্পূর্ণ হারাম। এর মাধ্যমে বেগানা নারী পুরুষের পারস্পারিক দেখা সাক্ষাৎ প্রেমালাপ প্রেমনিবেদন ও প্রেমপত্র বিনিময় ইত্যদি যা ঘটে থাকে সব হারাম। যদি দেখা সাক্ষাৎ নাও করে বা কথার্বাতা নাও বলে তবুও অন্ততপক্ষে প্রেমিক-প্রেমিকা একে অপরকে মনে মনে কলপ্না করে তৃপ্তি অনিভব করে। এতে অন্তরের যিনা হয় যা শরীয়াতের দৃষ্টিতে হারাম।

সুতরাং আপনার সাথে যে মেয়ের ভাব-ভালোবাসা ছিলো সেটা ছিলো অবৈধ ও নাজায়েয হয়েছে। আর ঔ মেয়েটি স্বামীর বাড়িতে চলে গেছে আর আপনি তার চিন্তায় শেষ হইয়া যাইতেছেন এটা হলো এক প্রকারের বোকামিও বটে। অন্যের বিবাহ থেকে আপনার টানে তার ফিরে আসা এবং আপনার জন্য তাকে বিয়ে করার চিন্তা ভাবনা করা সম্পূর্ণরুপে হারাম হবে। (বাওয়াদিরুন নাওয়াদির: পৃষ্টা: ৭০০ #মুসলিম খন্ড-২, পৃষ্টা ৩৩৬)

আপনার এখন উচিৎ হবে তাওবা করে অন্য কোনো দীনদার এক সুন্দরী মেয়ে বিবাহ করা। এতে আপনার পেরেশানি লাঘব হবে ইনশাআল্লাহ। আপনি ইচ্ছাপূর্বক তার কথা মনে আনবেন না। আর যখনই তার কথা মনে পরবে তখন এই দু’আটি কয়েকবার পরে নিবেন। আর বেশী বেশী আল্লাহকে স্মরণ করবেন। দোয়াটি হলো: হে আল্লাহ, আমার অন্তরের কু-মন্ত্রণাকে আপনার ভয় ও যিকিরে রুপান্তরিত করে দিন। এবং আমার সাহস ও ইচ্ছাকে আপনার ভালোবাসা ও মর্জির দিকে ধাবিত করুন। আমিন।

সাথে সাথে পূর্বের নাজায়েয প্রেম ও তৎসংশ্লিষ্ট সকল গুণাহ হতে খাঁটি মনে তাওবা করুন। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সমস্ত গোনাহের কাজ থেকে বিরত রাখুন।

উত্তর দিয়েছেন: মুফতি ইমরান হোসাইন, জামিয়া ইদ্রীসিয়া তাখাসসুস একাডেমি, ঢাকা।

/আরএ

Comments