সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ উদযাপন

প্রকাশিত: ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০১৯

ইসলাম ডেস্ক: লাইলাতুল মেরাজ ইসলাম ও মুসলামানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক রাত্রি। এ রাত্রিতে বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ্ব জাহানের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তাআলার সানিধ্য লাভের জন্য উর্ধ্বালোকে গমন করেন।

ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী হযরত মুহাম্মদের (সা:) নবুওয়াত প্রকাশের একাদশ বৎসরের (৬২০ খ্রিষ্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা:) প্রথমে কাবা শরিফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন এবং সেখানে তিনি নবীদের জামায়াতে ইমামতি করেন।

অতঃপর তিনি বোরাক নামক বিশেষ বাহনে আসীন হয়ে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন। ঊর্ধ্বাকাশে সিদরাতুল মুনতাহায় তিনি আল্লাহ’র সাক্ষাৎ লাভ করেন। এই সফরে ফেরেশতা জিবরাইল তার সফরসঙ্গী ছিলেন।

কুরআন শরিফের সুরা বনি ইসরাঈল এর প্রথম আয়াতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে ‘পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার আশপাশে আমি বরকত দিয়েছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা’।

তাৎপর্যপূর্ণ এ রাত্রি হলো আরবী রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাত তথা ২৭ তারিখ। সারা পৃথিবীর ইসলাম ধর্মাবলম্বী তথা মুসলমানরা এই রাতে এবাদত-বন্দেগীতে কাটিয়ে দেয়। বাংলাদেশেও অত্যান্ত ভাবগম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এই রাতটি উদযাপন করা হয়।

বাংলাদেশেও এ রাতটি উদযাপকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বুধবার আজ বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ‘লাইলাতুল মেরাজের গুরুত্ব ও তাত্পর্য’ শীর্ষক এক ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

সেখানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মহিউদ্দিন কাসেম মেরাজের গুরুত্ব ও তাত্পর্য বিষয়ে আলোচনা করেন। এতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নূরুল ইসলাম সভাপতিত্ব করবেন।

এছাড়াও ঢাকা সহ সারাদেশে এ উপলক্ষ্যে ধর্মীয় সভা, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল এবং মসজদিগুলোতে ইবাদাত বন্দেগীতে মুসল্লিদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

/আরএ

Comments