দাম নেই : গরু ছাগলে খাচ্ছে ফুলকপি নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১:২৩ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯ বিল্লাল হোসেন,যশোর প্রতিনিধি: যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ও বারীনগর সাতমাইল পাইকারি বাজারে ফুলকপির দাম নেই। ক্রেতারা যেন ফুলকপির দিকে তাকিয়েও দেখছেন না। প্রতি পিস ফুলকপি ১ থেকে ২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অনেক সময় এর চেয়েও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে চাষিরা। দাম না পেয়ে অনেকেই ক্ষেতের কপি গরু ছাগল দিয়ে খাওয়াচ্ছে। অথচ একই এলাকার খুচরা বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকায়। বাজারে আসার সাথে সাথে পাইকাররা সব ফুলকপি কিনে নিচ্ছেন কমদামে। পরে বিভিন্ন বাজারে ইচ্ছেমত বিক্রি করছেন। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন,ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারসাজিতে চাষি ও সাধারণ ক্রেতারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। চাষি আবুল হোসেন, ফয়জুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে পাইকারি বাজারে ফুলকপির চাহিদা নেই। তারা বাজারে শ’শ’ পিস কপি নিয়ে গেলেও দাম পাচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের ফুলকপি কেনার প্রতি কোন আগ্রহ নেই। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থেকে প্রতি পিস ১ থেকে ২ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে লাভ তো দুরের কথা বাজারজাত করার গাড়ি ভাড়া ও শ্রমিকের টাকা পরিশোধ হচ্ছেনা। এতে অনেকেই আর ফুলকপি বাজারে নিচ্ছে না। সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেক চাষি মনের দুঃখে কপি ছাগল গরু দিয়ে খাওয়াচ্ছে। কয়েকজন চাষি জানান, ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে তারা ফুলকপির ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। সিন্ডিকেট তৈরি করে নিজেরাই দাম কমিয়ে দিয়েছে বেশি লাভবান হওয়ার জন্য। তবে পাইকার ও খুচরা বাজারে ফুলকপির দামে রয়েছে ব্যাপক ফারাক। চুড়ামনকনকাটি ও সাতমাইলের খুচরা বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকায়। বাসুদেব নামে এক খুচরা বিক্রেতা জানান, বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে বলেই তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, আমি ফ্রেশ কপি ছাড়া বিক্রি করিনা। পাইকারি বাজারে হয়তো নিমানের ফুল কপির দাম কম হতে পারে। সবজি চাষিরা জানিয়েছেন, সরকারিভাবে সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা চালু থাকলে পাইকাররা ইচ্ছামতো সিন্ডিকেট করতে পারবে না। তারাও ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রি করতে পারবেন। চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন ও হৈবতপুর ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানিয়েছেন পাইকারদের কারসাজিতে সবজি চাষিরা প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সবজি চাষে আগ্রহ হারাবে কৃষক। Comments SHARES বিশেষ প্রতিবেদন বিষয়: