বিলুপ্তির পথে গ্রামিণ ঐতিহ্যের ‘কাঠের ঢেঁকি’

প্রকাশিত: ৬:২৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯

শান্ত দেবনাথ, বাঘারপাড়া (যশোর): ঢেঁকি আমাদের একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। কালের বিবর্তণে ঢেঁকি এখন যেন শুধু ঐতিহ্যের স্মৃতি।

শীতের শুরুতে অগ্রহায়ন-পৌষ মাসে কৃষকেরা ধান কাঁটার সঙ্গে সঙ্গে ধানের নতুন চাল গুড়া করা আর সে চাল এবং গুড়া দিয়ে বিভিন্ন রকমের পিঠা আর পায়েশ তৈরীর ধুম পড়ে যেতো। চারদিকে শুরু হতো বিভিন্ন রকমের পিঠা খাওয়ার হৈ-চৈ। কিন্তু সময়ের বির্বতনে সেসব এখন স্মৃতি হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ।

যশোরের বাঘারপাড়ায় সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়, আশে পাশের এলাকায় আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি আর আগের মতো চোঁখে পড়ে না। এক সময় ছিলো ঢেঁকি গ্রাম জনপদে চাল ও চালের গুড়া-আটা তৈরীর একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু এখন আর ঢেঁকির সেই ধুপধাপ শব্দআর শুনা যায় না।

বর্তমানে আধুনিকতার ছোয়ায় যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ঢেঁকির শব্দ আর নেই। ফলে বিলুপ্তির পথে গ্রামীণ জনপদের কাঁঠের তৈরী ঢেঁকি।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যেকে ধরে রাখতে কেউ কেউ বাড়ীতে ঢেঁকি রাখলেও তারা ব্যবহার করছে না। তবে আবার কেউ কেউ দরিদ্র নারীদের দিন মজুরী দিয়ে ঢেঁকিতে ধান-চাল বা আটা তৈরী করতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শেখেরবাতান গ্রামের বাসিন্দা রোকেয়া খাতুন বলেন, আমি ঢেঁকি থেকে চাউলের গুড়া তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করি।

বর্তমানে তেল-বিদ্যুৎ চালিত ধান ও চাল ভাঙ্গার মেশিন এখন মোড়ে মোড়ে। যার কারণে এখন ঢেঁকিতে চালের গুড়া তৈরি করার কাজ আনেকটাই কমে গেছে।

বর্তমান প্রজন্ম ঢেঁকি ছাটা চাল ও গুড়ার স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রাচীনকালে ঢেঁকির ব্যবহার বেশী হলেও বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহি কাঠের তৈরি ঢেঁকি বিলুপ্তির পথে।

/এসএস

Comments