মানুষের মন জয় করেছে গ্রাম আদালত; সোলাদানাতে দুই বছরে ১১৫ মামলা নিষ্পত্তি

প্রকাশিত: ৩:৫৯ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০১৯

ইমদাদুল হক, পাইকগাছা, খুলনা: খুলনার পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত সাধারন মানুষের মন জয় করেছে। অল্প খরচে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত খুলনা বিভাগের অন্যতম অবস্থানে রয়েছে।

অত্র ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত সহকারী একরামুল হক জানান, ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত মোট ১২০টি মামলা নথিভূক্ত করা হয়েছে এবং রায় প্রদান করা হয়েছে ১১৫টি।

আবেদনকারীগণ সুষ্টু বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ বাবদ এই অল্প সময়ের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৬ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫৭৪ টাকা পেয়েছেন ও রাজস্ব আদায় হয়েছে ১হাজার ৩৮০ টাকা। উল্লেখিত মামলার মধ্যে উচ্চ আদালত থেকে প্রেরিত ৩৩টি মামলা অত্র গ্রাম আদালতে নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

গ্রাম আদালতের উপজেলা সমন্বয়কারী মহিদুল ইসলাম জানান, আদালত কার্যক্রমে ইতিমধ্যে খুলনা বিভাগের মধ্যে সোলাদানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস,এম,এনামুল হক যথেষ্ট ভাল অবস্থানে রয়েছেন।

সূত্রে জানা গেছে, দেশের তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষের বিচার সেবা পৌঁছে দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউএনডিপির সহায়তায় গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ দ্বিতীয় প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ২৭টি জেলার ১২৮টি উপজেলায় ১,০৮০টি ইউনিয়নে কাজ করছে।

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় কর্তৃক পরিচালিত প্রকল্পটি পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে গ্রাম আদালতে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আইনী ক্ষমতা ধর্তব্য অপরাধ বাদে রক্তপাতহীন মারামারী, শারীরিক নির্যাতন বন্ধ ও মীমাংসাযোগ্য ছোট খাটো বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানগণ আদালতের কার্যক্রম জোরদার কারেছন।

ইউনিয়ন পরিষদের পরিচালনায় এ আইনী প্রক্রিয়ায় স্বল্পমূ্ল্যে অল্প সময়ে বিচার পেয়ে থাকেন। এখানে অর্থের বিনিময়ে কোন আইনজীবীর প্রয়োজন হয় না। সার্বিক দিক বিবেচনা করে মানুষ এখন অনেকটায় গ্রাম আদালতমুখী। ফলে উচ্চ আদালতে কমছে মামলার জট।

মানুষের বিচারিক সেবা সম্পর্কে সোলাদানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম এনামুুল হক বলেন, তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ করার চেষ্টা করছেন।

এ ব্যাপারে সোলাদানা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও ইউ,পি সদস্যবৃন্দ জানান, গ্রাম আদালতের কার্যক্রম চালু হাওয়ার পর থেকে অনেকটা কাজের চাপ কমেছে এবং ইউনিয়ন পরিষদ আরো প্রানবন্ত হয়েছে। সকলে আদালত সহকারীর পদটি স্থায়ী করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

এমএম/

Comments