বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি ‘হাইব্রিড গাড়ি’

প্রকাশিত: ১২:২৫ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০১৯

ডেস্ক: মাত্র দুই বছরের চেষ্টায় একই সাথে তিনটি সুবিধা সম্পন্ন দেশের প্রথম হাইব্রিড গাড়ি নির্মাণ করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) একটি গবেষক দল। দলটির প্রধান রুয়েট যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক।

এই প্রকল্পের গাড়ি প্রচলিত ধারায় জ্বালানি দিয়ে চলবে। জ্বালানি শেষ হলেও সমস্যা নেই। গাড়ির গতি বন্ধ হবে না। কারণ, সোলার চার্জিং পদ্ধতি সংযুক্ত থাকবে গাড়িতে।

বৈরি আবহাওয়ায় টানা সূর্যের আলো না থাকলেও ইলেক্ট্রিক্যাল প্লাগ-ইনের মাধ্যমে চলবে এ গাড়ি। মোবাইল ফোন চার্জ করার মতো বিদ্যুৎ অথবা ব্যাটারিতে চার্জ করে নিলেই সচল থাকবে গাড়ি।

মজার ব্যাপার হলো, একটি পরিত্যক্ত গাড়িকে হাইব্রিড গাড়িতে রূপান্তর করে ব্যবহার উপযোগী করা সম্ভব। এজন্য খরচ পড়বে মাত্র ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা

গবেষকরা জানান, ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এই হাইব্রিড গাড়ি উদ্ভাবন প্রকল্প পান রুয়েটের অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক। ২০১৭ সালের আগস্টে প্রকল্পের মূলকাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পে ব্যাটারি দিয়ে সহযোগিতা করেছে Gaston। মাত্র দুই বছরের পরিশ্রমে গবেষকদল একসঙ্গে গ্রাহকের চাহিদা মতো দেশে প্রথম ৩টি হাইব্রিড গাড়ি উদ্ভাবন করেছে।

অধ্যাপক ড. এমদাদুল হকের সঙ্গে এই প্রকল্পে যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক ফজলুর রশীদ, ২০১৩-১৪ বর্ষের মাহবুবুর রহমান, ওবায়দুল হাসান, তানভির রহমান, তরিকুল ইসলাম ও ২০১৪-১৫ বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাইল হক ফরিদ।

গাড়িটির বিষয়ে গবেষক দলের শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান পরিবর্তন বলেন, ‘ব্যাটারি ব্যবহার করেও ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি পাওয়া সম্ভব হবে। আর একবার চার্জ হলে জ্বালানি ছাড়াই টানা ২৫০ কিলোমিটার রাস্তা যাওয়া সম্ভব হবে।’

অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক বলেন, উন্নত বিশ্বের দেশগুলো এখন জ্বালানি ব্যবহার কিভাবে কমানো যায় সে দিকে নজর দিচ্ছে। কারণ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বের যত জ্বালানি আছে সেগুলো শেষ হয়ে যাবে। তাই আমরা চেষ্টা করেছি এমন কিছুর যা জ্বালানি ব্যবহার কমাবে। আমাদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে।

 

Comments