ভৈরবে শিশুদের হাতে ইজিবাইক; বাড়ছে দূর্ঘটনার আশঙ্কা

প্রকাশিত: ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০১৮

আফসার হোসেন তূর্য, ভৈরব: ভৈরবে শিশুরা জীবনের তাগিদে বেছে নিচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ পেশাকে। যে বয়সে বই খাতা কলম নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা সে বয়সে ইজিবাইক বা অটোরিক্সা নিয়ে যাত্রীর বোঝা।

অভিভাবকরা অভাবের টানে শিশুদের নামিয়ে দিচ্ছে এ মরন সড়কে। বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। মৃত্যু বরণ করছে অনেকই আবার পঙ্গুত্ববরন করে আসছে যাত্রী ও পথচারীরা। লাইসেন্স নেই,অভিজ্ঞতা নেই। তবু অর্থের লোভে কথিত গাড়ীর মালিকরা শিশুদের হাতে তুলে দিচ্ছে ঝুঁকিপূর্ন ইজিবাইক। ১০ থেকে ১২-১৩ বছরের শিশুরা টাকার অভাবে ইজিবাইক বা অটোরিক্সা নিয়ে নেমে পড়ছে মরন ফাঁদে। এমন পরিস্থিতি স্বচোক্ষে দেখা যায় ভৈরবের বিভিন্ন রাস্তায়।

এই সব শিশুরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বেপোরোয়া ভাবে চালাচ্ছে এই সব ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক বা অটোরিক্সা।যার ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড় অহরহ র্দুঘটনা।

এছাড়া ইজিবাইকের কারনে ভৈরবের বাজারের প্রবেশ মুখ বোম পট্টি এলাকা,জামে মসজিদ রোড,দুর্জয় মোড় সহ নিয়ম না মেনে যেখানে সেখানে অটো থামিয়ে যাত্রী ওঠা নামানোর কারণে রাস্তার মধ্যে প্রতিনিয়তই যানজট লেগে থাকে। যানজটের কারণে দূর্বিসহ যন্ত্রনা পোহাতে হয় নগরের সাধারন জনগনদের।

এ যানের কোনো লাইসেন্স না থাকায় বয়স বিবেচনা না করেই শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত যে যেভাবে পারছে ইজিবাইক চালাচ্ছে।
ফলে বেপোরোয়া চালকরা নির্দ্বিধায় এলাকার পাড়া ও মহলায় নিজেদের ইচ্ছে মত চালাচ্ছে অটোরিক্সা। শহরের বিভিন্ন ফুটপাতের পাশে, রাস্তার ধারে, রেললাইনের পাশে অবৈধ ভাবে ষ্ট্যান্ড গড়ে তুলছে অটোরিক্সা চালকরা।

এই অটোরিক্সা গুলো চালু হওয়ার পর থেকেই বেশীর ভাগই অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক চালকরা এগুলো চালিয়ে আসছে। যে ঠিকভাবে বাই সাইকেল চালাতে পারবে না সে অটোরিক্সার ড্রাইভার বনে গেছে। এই অটোরিক্সা চালকরা প্রশিক্ষন প্রাপ্ত না হওয়ায় র্দুঘটনা বেশী ঘটছে। যারা অটোরিক্স চালায় তাদের অধিকাংশ লোকই গাড়ী চালানোর নিয়ম কানুন জানে না। এর ফলে কোথায় কিভাবে চালাতে হবে সেই নিয়মটি না জানার কারনে সে তার ইচ্ছে মত গাড়ী চালায়।

দেখা গেছে, বর্তমান শহরে রিক্সার চেয়ে অটোরিক্সা বেশী হয়ে গেছে। আর এই সব অটোরিক্সা বেশির ভাগই চালাছে ছোট ও অপ্রাপ্ত বয়সের শিশুরা। যদি এই সব অটোরিক্সা বা ইজিবাইকের প্রতি প্রশাসন এখনই নজরদারি না বাড়াই তাহলে শিশুরা এ ঝুঁকিপূর্ণ পেশার দিকে দিন দিন আরো বেশি ধাবিত হবে। এ ঝুঁকিপূর্ণ পেশা থেকে শিশুদের এখনই যদি সরিয়ে না আনা যায় তাহলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

/আরএ

Comments