নিউ ইয়র্কের আদালতে মামলা করবে বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৫:২২ অপরাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০১৮ বিশেষ প্রতিবেদক : আগামী এপ্রিলের মধ্যে চুরি হওয়া রিজার্ভের অর্থ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে নিউ ইয়র্কের আদালতে মামলা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে সেখানকার প্রতিষ্ঠিত কোনো ল ফার্ম নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম. ইউনুসুর রহমান, সিআইডির প্রতিনিধিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আপাতত সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি, মোকদ্দমা করব। এপ্রিল মাসের মধ্যেই করব। মামলাটি হবে নিউ ইয়র্কে।’ তিনি আরো বলেন, আমাদের সংস্থাগুলোর তদন্ত চলছে। বৈঠকে তাদেরকে (সিআইডি) দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মামলার প্রক্রিয়া শুরু হবে। মামলা পরিচালনার জন্য নিউ ইয়র্কে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, মামলার করার জন্য এখনো ল ফার্ম নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তবে নিউ ইয়র্কেই ল ফার্ম নিয়োগ দেওয়া হবে। সেখানে বাঙালি আইনজীবীরাও রয়েছেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ মামলায় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংককে আমরা পার্টি করতে চাই। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক কি পার্টি হতে রাজি হয়েছে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজি হয়নি। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যোগাযোগ করছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্রে জানা গেছে, এপ্রিলের মধ্যে নিউ ইয়র্কে রিজার্ভ চুরির মামলা করা হয়ত সম্ভব হবে না। মামলার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এখনো সম্পন্ন হয়নি। বিশেষ করে, সিআইডি যে তদন্ত করছে, সে তদন্তের প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। মামলায় এ প্রতিবেদনের প্রয়োজন হবে। তবে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মামলা করার সুযোগ রয়েছে। তার আগেই মামলা করা হবে। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (ফেড) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। পাঁচটি সুইফট বার্তার মাধ্যমে চুরি হওয়া এ অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার ফেরত আসে। তবে ফিলিপাইনে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে এখনো ফেরত আসেনি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। আর এই ডলার উদ্ধারের জন্য মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। #এএইচ Comments SHARES জাতীয় বিষয়: