জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেট বিড়ম্বনা!

প্রকাশিত: ৭:৪০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০১৮

ইমরান খান, জবি প্রতিনিধি: প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমান বিশ্বের প্রায় সকল আধুনিক কাজকর্ম ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়। বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ইন্টারনেটের বিকল্প নেই।

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে উন্নতমানের ইন্টারনেট সুবিধা থাকলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই আধুনিক মানের ইন্টারনেট ব্যবস্থা।

ক্যাম্পাসে ওয়াইফাই (ইন্টারনেট) সুবিধা থকলে তা অত্যন্ত দুর্বল। দুর্বল এই নেটওয়ার্কের কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

আধুনিক উন্নতমানের ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ার লক্ষে ২০১২ সালে সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসকে ওয়াই-ফাই (ইন্টারনেট) নেটওয়ার্কের আওতায় আনে প্রশাসন।

ঘোষণা দিলেও কাজের কাজ ঠিকঠাক করতে পারেনি প্রশাসন। শুধু নামে মাত্র নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে রয়েছে এই ইন্টারনেট ব্যবস্থা। সেগুলোর আবার বেশিরভাগই দুর্বল ফ্রিকোয়েন্সীর।

দুর্বল ফ্রিকোয়েন্সীর এই নেটওয়ার্ক মাঝে মধ্যেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আবার অনকেই নতুনভাবে সংযোগ দেওয়ার সময় পোহাতে হচ্ছে নানান ঝামেলা। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দিন দিন তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে পিছিয়ে পড়ছে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুধু নামে মাত্র ওয়াইফাই আছে। এই ওয়াইফাই আসলে অকার্যকর। বেশিরভাগ সময় এই ওয়াইফাই দিয়ে কোনো কাজ করা যায় না।

তাছাড়া বিভাগীয় ওয়াইফাই গুলোর প্রত্যেকটাতেই পাসওয়ার্ড দেওয়ার কারণের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছে না সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সমগ্র ক্যাম্পাসে সহজেই ওয়াইফাই কানেকশন দেওয়ার কথা থাকলেও তা আসলে কার্যকর হয়নি। এর ফলে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিজ আলম বলেন ক্যাম্পাসে শুধু নামেমাত্র ওয়াইফাই রয়েছে। আর নামে মাত্র ওয়াইফাই মাঝে মাঝে এতোটাই দুর্বল ফ্রিকোয়েন্সীর হয় যে কোনো কাজ করা যায় না।

সর্বোচ্চ ২ এমবিপিএস নেটওয়ার্ক দেওয়ার কথা থাকলেই বেশিরভাগ সময় ২০০ থেকে ২৫০ কেবিপিএসের বেশি পাওয়া যায় না। অনেক সময় এতোটাই নিচে নেমে যায় যে তা দিয়ে সাধারণ একটা ব্রাউজার ওপেন করা যায় না।

তাছাড়াও ডিপার্টমেন্টের ওয়াইফাই গুলোর প্রত্যেকটাতে পাসওয়ার্ড দেওয়ার কারণে আমরা ব্যবহার করতে পারি না।

কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শাহিনুর শাহিন বলেন প্রথম দিকে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক কাজ করলেও মাঝে মাঝে চলে যায়। অনেক সময় ঘন্টার পর ঘন্টা আমরা ওয়াইফাই থেকে বঞ্চিত থাকি।

ওয়াইফাই ওপেন করলে লিমিট একসেস দেখায়। যার কারণে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হলে আমাদেরকে নিজস্ব মোবাইলের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে করতে হয়।

এভাবে আমরা ক্যাম্পাসের ওয়াইফাই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সর্বনিম্ন ৫১২ কিলোবাইট থেকে সর্বোচ্চ ২ মেঘাবাইট গতিতে ৫০টি কম্পিউটারের মাধ্যমে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে কাজ সম্পন্ন করতে পারবে।

কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হচ্ছে না।

বিষয়ে নেটওয়ার্কিং ও আইটি দপ্তরের পরিচালক ড. উজ্জল কুমার আচার্য্য বলেন, ওয়াইফাইয়ের এখন বেশি ভালো অবস্থায় নেই নতুন করে প্রজেক্ট নেওয়া হইয়েছে তখন ভালো ওয়াইফাই সংযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা।

নতুন প্রজেক্ট এর ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন এই ব্যাপারে আমার সাথে কথা বলে লাভ নাই, যারা কাজ করতেছে তারা জানে কতোদিন সময় লাগবে।

তিনি বলেন, তারা অলরেডি সার্ভার সেটাপ করে ফেলছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ হওয়ার কথা।

/আরএ

Comments