ঝিনাইদহ

সিদ্দিক ব্রেড এন্ড কনফেকশনারিতে ‘ছুঁচো’, মুচলেকা দিয়ে রক্ষা!

প্রকাশিত: ৫:১৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ শহরের সিদ্দিক ব্রেড এন্ড কনফেকশনরিতে ছুঁচোর উপস্থিতি পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর ঝিনাইদহ।

গতকাল ঝিনাইদহ চেম্বার ও দোকান মালিক সমিতির উপস্থিতিতে পরিচালিত অভিযানে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ খাদ্যপন্য উৎপাদন ও উৎপাদনস্থলে ছুঁচোর উপস্থিতি দেখতে পায়।

এ সময় জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল ও জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল হক মন্টুসহ চেম্বার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানকালে সিদ্দিক ব্রেড এন্ড কনফেকশনরির মালিক সিদ্দিকুর রহমান আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে ছুঁচো নিধন করে রান্নার জায়গা নতুন করে নির্মানের অঙ্গীকার করেন। ব্যার্থ হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে হুশিয়ার করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে খবরটি নিশ্চত করে জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল জানান, তাকে উন্নত পরিবেশে খাবার তৈরী করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এটা করতে তিনি ব্যার্থ হলে প্রচলিত আইনে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

এদিকে ঝিনাইদহের হোটেল রেষ্ট্রুরেন্ট ও ফুটপাতে গজিয়ে ওঠা ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে আমরা কী খাচ্ছি তা দেখার কেউ নেই। পৌরসভা ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের স্যানিটারি ইন্সপেক্টরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদাসিনতার কারণে বাসি পঁচা ও ময়লাযুক্ত খাবার খেয়ে যাচ্ছে মানুষ।

জেলার ৬ উপজেলা ও বাজারঘাটের হোটেলগুলোতে ঢুকলে নাকে উৎকট গন্ধ আসে। মশা, মাছি এমনকি ছুঁচোর আনাগোনা খাবারের পাত্রে। সেই পাত্রে বানানো হচ্ছে সিঙ্গাড়া, ছমোচা, চপ, পিয়াজু, জিলাপি, মোগলাই পরাটা ও মুরগী ফ্রাই।

পুরাতন ডিসি কোর্টের আশেপাশে ফুটপাতে গজিয়ে উঠেছে চিংড়ি ও মুরগী ফ্রাইয়ের ভ্রাম্যমান দোকান। সন্ধ্যা লাগলে এ সব দোকানে প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

এ সব দোকানে মানুষ কী খাচ্ছি তা নিয়ে যেন কারো মাখা ব্যাথা নেই। খাবারগুলো ঢেকে না রাখার কারণে বাতাসে ধুলাবালি ও মাছি বসছে। সেই খাবার খেয়ে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

/আরএ

Comments