ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যত্রতত্র গড়ে উঠছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: দীপু মনি

প্রকাশিত: ৭:১৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯

বশির ইবনে জাফর: ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যত্রতত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে এক শ্রেণির অসাধু মহল বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আজ বুধবার সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এসএসসি পরীক্ষার একটি কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন ড. দীপু মনি।

তিনি আরো বলেন, অন্যান্য  প্রতিষ্ঠান করার আগে অনুমতি লাগে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আগে অনুমতির প্রয়োজন হয় না। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পর পাঠদানের অনুমতি নেওয়া হয়। এই জায়গাটায় ঠিক কী ধরণের ব্যবস্থা নেয়া যায় তা নিয়ে সরকার ভাবছে।

কোচিং সেন্টার বন্ধের ব্যাপারে ড. দীপু মনি বলেন, কোচিং সেন্টার অনেক রকমের আছে। কিছু আছে যেখানে জিআরই, টোফেল আইইএলটস শেখানো হয়; সেগুলো এক ধরণের। আবার কোথাও কোথাও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোচিং করানো হয়, সেটিও ভিন্ন রকমের।

কিন্তু যেখানে শিক্ষকরা শ্রেণিতে পড়াশোনা না করিয়ে তাঁদের নিজেদের বাড়িতে বা কোচিং সেন্টারে স্কুলের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কোচিং করতে বাধ্য করেন। এবং কোন কোন ক্ষেত্রে সেখানে না পড়লে শিক্ষার্থীদের ফেল করিয়ে দেন, এ রকমের অপরাধ যাঁরা করেন, সেই জায়গাগুলো আমাদের বন্ধ করতেই হবে। এবং সেটার জন্য আমাদের চেষ্টা আছে। সারা দেশেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও নানা জায়গায় তাঁদের অভিযান চালাচ্ছে।

নোট গাইড বিক্রির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা বেআইনিভাবে নোট গাইড বিক্রি করছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ স্থানীয় প্রশাসনও এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। যেখানেই আমরা অভিযোগ পাচ্ছি, সেখানেই আমরা তদন্ত করে দেখছি যে কোথাও কোনো স্কুল জড়িত আছে কি না বা কোনো শিক্ষক জড়িত আছে কি না।

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করতে চাই উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।  তবে বহিঃবিশ্বের তুলনায় এখনো অনেক পিছিয়ে আছি। আর তাই আমাদের আরো অনেক দূর যেতে হবে।

আরো পড়ুন: বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা এখন আরো সহজ

বিআইজে/

Comments