ঝিকরগাছায় শালিসে ৬ জনকে বেদম মারপিট, থানায় মামলা, আটক ২

প্রকাশিত: ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০১৯

বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি: যশোরের ঝিকরগাছায় মাদক নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে গ্রাম্য শালিসে ছয়জনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। গুরুতর আহত একজন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মঙ্গলবার ঝিকরগাছা থানায় জুলহাস হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেছেন।

জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল ইসলামপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বাপ্পী (১৯) ঝিকরগাছা থানায় গাঁজা সেবনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। তার অভিযোগ রোস্তম মোল্লার ছেলে হাবিলকে (৩০) জুলহাসের ছেলে রানা ও রনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মারপিট করেছে।

এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার উদ্যোগ নেন ইউপি মেম্বর মুজিবর রহমান। সোমবার রাতে ইসলামপুরের ঢাকা পাড়ায় শালিসে বসেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সেখানে রানা ও রনিকে মারপিট করেন স্থানীয় ইউপি মেম্বর মুজিবুর রহমান।

এক পর্যায়ে চারাতলা গ্রামের হারুণ অর রশিদের ছেলে আলমগীর হোসেন, ইসলামপুর গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হেদায়েত খান, মিন্টু, মিজান, সজল, মিলন চড়াও হন। তারাও মারপিট শুরু করেন।

এতে একই পরিবারের তিনজনসহ ৬জনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। আহতরা হলেন, ইসলামপুর গ্রামের ঢাকাপাড়ার জুলহাস হোসেনের স্ত্রী রেহেনা বেগম, ছেলে রানা হোসেন (২৮) ও রনি হোসেন (২৫), একই গ্রামের তাহের আলীর ছেলে ইলিয়াস (১৯), হিরার ছেলে রাকিব (২২), আজিম উল্লাহর ছেলে শাহিন (১৮)।

আহতদের মধ্যে রনির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের অভিযোগ, থানায় অভিযোগের কথা বলে টাকা দাবি করে হামলাকারীরা। টাকা না দেওয়ায় তারা শালিসের নামে নির্যাতন করেছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে নাভারণ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর মুজিবর রহমান বলেন, মাদক সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়টি মীমাংসা করতে শালিস করা হয়। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে রানা ও রনিকে চড়, থাপ্পড়, লাঠি দিয়ে কয়েক বার আঘাত করেছি, এটা সত্যি। কিন্তু তাতে আহত হওয়ার কথা নয়।

তিনি দাবি করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে বেকায়দায় ফেলতে শালিসের মধ্যেই ওই ছয়জনকে মারপিট করেছে। একজনের অবস্থা আশংকাজনক। এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

ঝিকরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, শালিসে মারপিটের ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দুজনকে আটক করা হয়েছে। তবে ইউপি মেম্বরকে আসামি করেনি বাদী।

/আরএ

Comments