আজ বসছে না পদ্মা সেতুর নবম স্প্যান

প্রকাশিত: ৪:২২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০১৯

একুশ ডেস্ক: আজ বসছে না পদ্মা সেতুর নবম স্প্যান। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলারের উপর নবম স্প্যানটি বসানোর কথা ছিলো আজ বৃহস্পতিবার। সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে স্প্যানটি বসানোর কাজ শুরু হয়েছিলো কিন্তু নব্যতা শঙ্কটের কারণে পরে তা স্থগিত করা হয়।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার নবম স্প্যানটি পিলারের ওপর বসানোর কথা থাকলেও অ্যাংকরিং (নোঙর) সমস্যার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। বুধবার পিলারের কাছে নোঙর করে রাখা হয়েছিল স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি। ক্রেনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ও নড়াচড়া যাতে না করে সেজন্য তার (রোপ) দিয়ে সামনে পেছনে মিলিয়ে ৮টি তার আটকানো ছিল। এরপর রাতে কিছুটা ঝড় বৃষ্টি হওয়ায় নোঙর করে রাখা তার (রোপ) ছিঁড়ে যায়। যা ছিড়ে যায়। এটি ঠিক করতে বৃহস্পতিবার বিকেল হয়ে যাবে। এছাড়া নদীতে পর্যাপ্ত গভীরতা না থাকায়ও কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য শুক্রবার সকাল থেকে স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হবে।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ূন কবির জানান, স্প্যান বহনকারী ক্রেনের নোঙর ছিঁড়ে যাওয়ায় ও নদীর নাব্য সঙ্কটের কারণে পদ্মা সেতুর নবম স্প্যানটি আজ বসানো যাচ্ছে না। তবে আগামীকাল এটি পিলারের ওপর ওঠানো হবে।

উল্লেখ্য, নবম স্প্যানটি বসানো হলে জাজিরা প্রান্তে এক সাথে ৮টি স্প্যান বসে যাবে। এবং এই প্রান্তে এক সাথে ১২০০ মিটার (সোয়া কিলোমিটার) পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হবে। সব মিলিয়ে মাওয়া প্রান্তের একটি স্প্যানসহ সেতুর দৈর্ঘ্যে দৃশ্যমান হবে ১৩৫০ মিটার।

এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর দ্বিতীয় স্প্যান, ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের ওপর তৃতীয় স্প্যান, ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের ওপর চতুর্থ স্প্যান এবং গত ২৯ জুন ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের ওপর পঞ্চম স্প্যান বসানো হয়েছে।

পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্প্যান বসানোর পর ৯০০ মিটার দৃশ্যমান হয়। এরপর গতকাল বুধবার ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারের ওপর অষ্টম স্প্যান বসানোর পর জাজিরা প্রান্তে ১ হাজার ৫০ ও মাওয়া প্রান্তে ১৫০ মিলিয়ে মোট ১ হাজার ২০০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

৪২টি পিলারের ওপর এমন ৪১টি স্প্যানের সাহায্যে পদ্মার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। বাপ-দাদার ভিটেবাড়ি গেলেও পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তুষ্ট স্থানীয়রা।

/আরএ

Comments