বাঘারপাড়ায় আখ চাষের আশানুরুপ ফলন, নায্য মূল্য থাকায় খুশি চাষিরা

প্রকাশিত: ৭:৪৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০১৯

শান্ত দেবনাথ, বাঘারপাড়াঃ যশোরের বাঘারপাড়ায় এবার আখ চাষের আশানুরূপ উৎপাদন হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকাই, রোগবালাই ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ফলন ভালো হওয়ায় ক্ষেত থেকে আগাম আখ কেটে বাজারে বিক্রি করছেন চাষীরা।

বাজারম‚ল্য কিছুটা চড়া হলেও সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই খুশি। তাই আখ কাটা ও বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। উৎপাদিত আখের আশানুরূপ দাম পেয়ে খুশি আখ চাষীরা। তবে সরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে আখচাষ করেছে বলে জানিয়েছে চাষীরা।

অপরদিকে বেশি লাভ পাওয়ায় আখ চাষে ঝুঁকছে এ উপজেলার কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, মাটি ও আবহাওয়া অনুক‚লে থাকা, ভালো জাত নির্বাচন, রোগব্যাধি কম থাকায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর ফলন বেশি হয়েছে।

আগাম আখ বাজারে আসায় কৃষকরা দামও বেশি পাচ্ছে। এ উপজেলায় শতভাগ গেন্ডারি জাতের আখ চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর বাঘারপাড়াতে ১১০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। যা বিগত বছরের তুলনায় ৩০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের শুকদেবনগর, ছাইবাড়িয়া, নওয়াপাড়া, খলশী, বহরামপুর, ও ইন্দ্রা গ্রামে বেশি আখ চাষের আবাদ হয়েছে। জামদিয়া ইউনিয়নের দাতপুর ও করিমপুর, দরাজহাট ইউনিয়নের হাবুল্যা, মহিরন, লক্ষীপুর , নারিকেলবাড়িয়া ও রায়পুর ইউনিয়নে সীমিত পরিমান আখ চাষ হয়েছে।

উপজেলার দোহাকুলা গ্রামের আখ চাষী তরিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর ২৬ শতক জমিতে আখ চাষ করেছি। আখের চারা ক্রয় থেকে শুরু করে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি, ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করার ।

শুকদেবনগর গ্রামের আখ চাষী ওসমান গনি জানান, আমি কয়েক বছর ধরে আখ চাষ করছি। গত কয়েক বছর আখের ফলন ভালো হলেও নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছি। তবে এ বছর আখের ফলন বেশ ভালো। বাজার ও সন্তুষ্টজনক ভাল দাম পাবো আশা করছি।

প্রসঙ্গত এ অঞ্চলের আখের চাহিদা সারা দেশে রয়েছে। আখ কাটার মৌসুম শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলার ক্রেতারা আখ কিনতে বাঘারপাড়ায় আসে। আখের গুনগতমান ও পরিবহন ব্যবস্থা ভালো থাকায় ব্যাপারীদের স্বাচ্ছন্দবোধ হয়। ঢাকা, খুলনা, যশোর, বরিশাল, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদাহ , মাগুরাসহ বিভিন্ন জেলার ব্যাবসায়ীরা এ এলাকায় আখ কিনতে আসে।

জানতে চাইলে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আহম্মদ আলী বলেন, বাঘারপাড়ায় ১১০ হেক্টর আখ চাষ হয়েছে । যার মধ্যে ১০০ হেক্টর-ই দোহাকুলা ইউনিয়নে। আখ চাষে সরকারি ভাবে কোন সহায়তা করা হয়না । চাষের ব্যাপারে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল আলম বলেন, এ বছর আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। আখ বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন আখচাষীরা। আমাদের কৃষি অফিসাররা মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক কাজ করছে।

Comments