বশেমুরবিপ্রবির ঘটনায় কুবি প্রেস ক্লাবের প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯

খোরশেদ আলম, কুবি প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর চলমান নির্যাতন ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রেস ক্লাব। বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তমঞ্চে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় মুখে কালো কাপড় বেঁধে সমাবেশ এবং বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের কুশপুত্তলিকা দাহ করে প্রতিবাদ জানায় তারা।

কুবি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার খান নোবেলের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতি মাহফুজ কিশোর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, অর্থ সম্পাদক সাজ্জাদ বাশার, দপ্তর সম্পাদক সাফায়িত সিফাত, কার্যকরী সদস্য সোহাগ মনিসহ সংগঠনের সদস্য, সহযোগী সদস্য ও সচেতন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে তারা প্রতিবাদী স্লোগান লিখিত ব্যানার ও প্রজ্জ্বলিত মোমবাতি নিয়ে মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান নেন। বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য ও তার পেটোয়া বাহিনীর স্বৈরাচারী আচরণের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মীদের বাক-স্বাধীনতা হরণকারী অশুভ কালো ছায়া প্রজ্জ্বলিত আলোয় দূর করার প্রতীকী প্রতিবাদ তোলে ধরেন তারা। সমাবেশ শেষে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘বশেমুরবিপ্রবিতে চলমান যৌক্তিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব। দ্রুততম সময়ের মধ্যে হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এছাড়াও বশেমুরবিপ্রবি ক্যাম্পাসে শিক্ষা, বাক-স্বাধীনতার সুষ্ঠু পরিবেশ এবং সাংবাদিকদের স্বাধীন কার্যক্ষেত্র নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। অন্যথায় দেশব্যাপী এই আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।’

গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ফেসবুকে লেখার জেরে আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও একটি ইংরেজি দৈনিকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করে বশেমুরবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপাচার্যের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে কর্তৃপক্ষ বহিষ্কারাদেশ তুলে নিলেও শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে জোর আন্দোলন গড়ে তোলেন। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

 

Comments