কিশোরগঞ্জে মাদকের অপব্যবহার রোধে সাংবাদিকদের সাথে তথ্য অফিসের প্রেস ব্রিফিং

প্রকাশিত: ৯:০৪ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১, ২০১৮

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জে মাদকের অপব্যবহার রোধে সচেততা বৃদ্ধির লক্ষে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেছে জেলা তথ্য অফিস। বৃহস্প্রতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তথ্য অফিসের আয়োজনে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জেলা তথ্য অফিসের সিনিয়র অফিসার মোঃ শামসুল হক। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) গোলাম মোহাম্মদ ভূইয়ার সভাপতিত্বে অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ হাবীব তৌহিদ ইমাম।

প্রেস ব্রিফিংয়েং জানানো হয়, জেলা তথ্য অফিসসমূহ তথ্য মন্ত্রণালয়াধীন সরকারের একটি প্রচারধর্মী প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুর উপর নানা প্রক্রিয়ায় প্রচার চালানো এ প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কাজ। দেশের সকল শ্রেণীর মানুষের নিকট মাদক একটি অতি পরিচিত শব্দ। মাদক দ্রব্যের নাম, প্রকারভেদ, আমদানীকারক, বাজারজাত, ভোক্তা, মাদকের ক্ষতিকর দিক এ সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় আইন, তার প্রয়োগ, এসকল বিষয়ে সাধারণ মানুষ বিস্তর জানতে চায়না। সকল মানুষ চায় একটি সুন্দর পারিবারিক জীবন ও সমাজ। সুন্দর পারিবারিক জীবন ও সমাজের অন্যতম নিয়ামক তরুণ প্রজন্মকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে সুরক্ষা করা। মাদকের কু-প্রভাব বা ক্ষতিকর দিকগুলো বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় তাদের নিকট তোলে ধরা এখন সময়ের দাবি। বর্তমানে দেশে প্রায় ৭০ লক্ষ মাদকাসক্ত ব্যক্তি রয়েছে। এর মধ্যে এ জেলার মাদকাসক্ত লোকও অন্তর্ভূক্ত । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী হাসপাতালে আগত রোগীদের ১০ শতাংশ আসে মাদক জনিত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে।

ভবিষ্যতে যেন মাদকাসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি না পায়, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে মাদকাসক্তি থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই আজকের এই প্রেস ব্রিফিং। এ লক্ষ্যে তথ্য মন্ত্রণালয় প্রচার কার্যক্রম পূর্বাপেক্ষা আরও জোরদার করেছে। প্রচার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের গণযোগাযোগ অধিদপ্তর মাদক বিরোধী স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং টিভি স্পট – “ঘুন”, “না”, “আমারই ভূল”, “নেশা-কে না বলি”, “মাদককে না বলতেই হবে”, “সিগারেট ঘুমের ঔষধ আর না আর না”, “কাটবে আধাঁর”, নিয়মিত ভাবে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং জেলা ও উপজেলা সদরে প্রদর্শন করছে। সরকারি-বেসরকারি বেতারেও মাদক বিরোধী বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন “জীবনকে ভালবাসুন, মাদক থেকে দূরে থাকুন” এ টিভি ফিলারটি অদ্য ০১.০৩.২০১৮ তারিখ রাত্র ৮.৫০ মিনিটে সকল টিভি চ্যানেলে একযোগে প্রচার করবে। এ অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য আপনাদেরকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

তাছাড়াও একাধিক মাদক বিরোধী ডকুড্রামা তৈরীর প্রক্রিয়াধীন আছে। তামাক, বিড়ি, গাঁজা, চরস, বাঙ এজাতীয় বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্য দীর্ঘদিন থেকে মানুষ ব্যবহার করছে। সীমিত আকারে ব্যবহারের কারণে এটা কোন সামাজিক সমস্যার কারণ ছিল না। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে হিরোইন, মরফিন, ফেনসিডিল, প্যাথেডিন, ইয়াবা জাতীয় নতুন নতুন মাদকে তরুণ প্রজন্ম দারুন ভাবে আসক্ত হচ্ছে। এ আসক্তি যেন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি না পায় তার জন্য আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে। রাষ্ট্রীয় দপ্তরসমূহ তাদের দায়িত্বের অংশ হিসেবে মাদক বিরোধী কার্যক্রম করে যাচ্ছেন। তার পাশাপাশি পরিবার, সমাজ, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, গ্রোথ সেন্টারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ এ বিষয়ে বিশেষ ভূমিকা আহবান জানান। এ সময় কিশোরগঞ্জে কর্মরত ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে জেলা তথ্য অফিসের সিনিয়র অফিসার মোঃ শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, দেশের সকল শ্রেণীর মানুষের নিকট মাদক একটি অতি পরিচিত শব্দ। মাদক দ্রব্যের নাম, প্রকারভেদ, আমদানীকারক, বাজারজাত, ভোক্তা, মাদকের ক্ষতিকর দিক এ সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় আইন, তার প্রয়োগ, এসকল বিষয়ে সাধারণ মানুষ বিস্তর জানতে চায়না। সকল মানুষ চায় একটি সুন্দর পারিবারিক জীবন ও সমাজ। সুন্দর পারিবারিক জীবন ও সমাজের অন্যতম নিয়ামক তরুণ প্রজন্মকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে সুরক্ষা করা। মাদকের কু-প্রভাব বা ক্ষতিকর দিকগুলো বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় তাদের নিকট তোলে ধরা এখন সময়ের দাবি। পরিবারের অভিভাবক, সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, নিউ মিডিয়ার কর্মকর্তাগণ এ কাজটি করতে পারেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের কাজটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সন্তানদের মাদকমুক্ত ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। জীবন একটিই এটি নিতান্তই আপনার। “ জীবনকে ভালোবাসুন, মাদক থেকে দূরে থাকুন”। আসুন এ শ্লোগানটি আমাদের সন্তানদের নিকট পৌঁছাই।

Comments