যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্বল্প মূল্যে ডিজিটাল এক্সরে করতে পেরে রোগীরা খুশি

প্রকাশিত: ৩:০০ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০১৯

বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি: যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ডিজিটাল এক্সরে মেশিনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্য দিয়ে যশোরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হল। সরকারি হাসপাতালে নামমাত্র মূল্যে ডিজিটাল করাতে পেরে খুশি রোগীরা। কেননা একই এক্সরে করাতে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দ্বিগুনেরও বেশি টাকা গুনতে হয় রোগী ও স্বজনদের। তাই টাকার অভাবে নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ এক্সরে করাতেও ব্যর্থ হন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মেশিন স্থাপনের পর রোববার ১৬ জন রোগীর ডিজিটাল এক্সরে করা হয়েছে। বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তুলনায় অর্ধেকেরও কম টাকা নেয়া হয়েছে। এক্সরে টেকনিশিয়ান নুরুজ্জামান জানান, মাজার এক্সরে করতে বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ব্যয় হয় সাড়ে ৫শ টাকা, সরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে ২শ ৫০ টাকা।

এছাড়া বুক ও হাতের এক্সরে করতে ব্যয় হয় সাড়ে সাড়ে ৮শ টাকা। সরকারি এই হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে ৪শ টাকা। ডিজিটাল এক্সরে করার জন্য রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে না। কম মূল্যে তারা সরকারি হাসপাতাল থেকেই এই সেবা পাচ্ছেন।

এক্সরে বিভাগের ইনচার্জ মৃত্যুঞ্জয় রায় জানান, সবেমাত্র ডিজিটাল এক্সরে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। প্রতিদিন সেবা নিতে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। রোগীদের শতভাগ সেবা দেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে। রোগী মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন জানান, তিনি ২শ ৫০ টাকায় মাজার এক্সরে (এল/ এস এস পেইন) করতে পেরে তিনি খুশি হয়েছেন।

একই অনুভূতি প্রকাশ করেন আরো কয়েকজন রোগী ও স্বজনেরা। তারা জানান, ডিজিটাল এক্সরে মেশিন কার্যক্রম শুরু হওয়ায় তাদের মতো অনেকেই আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থের কবল থেকে রক্ষা পাবেন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু জানান, দেশের সর্বত্র বিস্তার লাভ করেছে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার নেটওয়ার্ক। এমন মজবুত অবকাঠামোর ওপর দাাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাত্রার ব্যাপক বিস্তার ঘটেলেও যশোর জেনারেল হাসপাতালের যন্ত্রপাতির মান ছিল ভিন্ন।

কিন্তু তিনি এখানে যোগদানের পর এখানে ডিজিটাল যন্ত্রপাতির স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়েছেন। মানুষ সরকারি এই হাসপাাতলে ডিজিটাল মেশিনের সেবা পাওয়ায় তিনিও খুশি।

উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রয়ারি, ডিজিটাল এক্সরে, কালার আল্ট্রাসনোসহ আধুনিক ৮ প্রকারের মেশিন হাসপাতালে সরকারিভাবে পৌঁছায়।

এমএম/

Comments