ডিম আগের দামে ফিরলো ডিম নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৬:০৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২২ হঠাৎ করেই ঝড়ের গতিতে ডিমের দাম বেড়ে যায় রেকর্ড হারে। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয় এক হালি ডিম। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের খুচরা বাজারে তখন প্রতি হালি ডিমের দাম ৫৫ টাকার বেশি বিক্রি হয়। কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম আবার কমতে শুরু করেছে। যেই গতিতে বেড়েছিলো যেন সেই গতিতেই কমেছে ডিমের দাম। বর্তমানে আজ বুধবার (২৪ আগস্ট) ঢাকার খুচরা বাজারে হালিপ্রতি ডিম মিলছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা, কোথাও বা তার সামান্য বেশি। বিক্রেতারা এখন বাদামি রঙের এক ডজন ডিমের দাম রাখছেন ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। ফার্মের মুরগির সাদা রঙের ডিমের দাম ডজনপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কম। আর দেশি হাঁস ও মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ডজনে। বাজারে ডিমের সরবরাহেও সংকট নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ে অভিযানে নামে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অন্যদিকে ডিমের দাম না কমলে সরকার বিদেশ থেকে আমদানির অনুমতি দিতে পারে—এমন ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এরপরই মূলত বাজারে ডিমের দাম কমতে শুরু করে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিম আমদানি করলেও খরচ বেশি পড়বে; কারণ, পরিবহন ব্যয় বেশি এবং ডিমের সংরক্ষণ পদ্ধতি ব্যয়বহুল। এতে দেশীয় খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়বেন। এর চেয়ে বরং খামারিদের সুরক্ষা দিয়ে বাজার তদারকির মাধ্যমে সংকটের সমাধান চান তাঁরা। বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) তথ্য বলছে, দেশে প্রতিদিন চার কোটির বেশি ডিম উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত এসব ডিমের বড় অংশ আসে গ্রামের খামার থেকে। পচনশীল পণ্য হওয়ায় এসব ডিম দ্রুত পরিবহন করে দেশের বড় বাজারগুলোতে নিয়ে আসা হয়। সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে বেড়েছে পরিবহন ব্যয়। কিন্তু তার প্রভাব ডিমের ওপর খুব বেশি পড়ার কথা না থাকলেও ডিমের দাম হালিতে ১৫ টাকার বেশি বেড়ে যায়। বিপিআইসিসি বলছে, চলতি আগস্টের প্রথম দুই সপ্তাহ পর্যন্ত খামার পর্যায়ে ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের প্রতিটি ডিমের দাম রাখা হয়েছে ৯ টাকা ৭৩ পয়সা। আর খামারিরা সাদা রঙের ডিম পাইকারিতে বিক্রি করেছে ৯ টাকা ৪০ পয়সায়। সেই হিসাবে হঠাৎ করে বাজারে ডিমের দাম যখন বাড়ল, তখন খামারিরা বাড়তি মূল্য না পেলেও মধ্যস্বত্বভোগীরা বড় অঙ্কের মুনাফা করেছে। এতে ডিমের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ এগ প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ গণমাধ্যমকে আলোকে বলেন, ‘ডিমের দাম এখন কমে এসেছে। আগের দামে ১২০ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ডিম। বাজার এখন স্থিতিশীল, হঠাৎ করে দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে ডিমের উৎপাদন ধরে রাখতে হবে। উৎপাদন ব্যাহত হলে দ্রুত বাজারে প্রভাব পড়বে। তাই খামারিদের সুরক্ষা দেওয়ার বিকল্প নেই।’ তবে ডিমের বাজার অস্থিতিশীলতার জন্য বড় খামারি ও করপোরেট ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা করার প্রবণতাকে দায়ী করেন তিনি। /আরএফ/একুশনিউজ/ Comments SHARES জাতীয় বিষয়: