ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার মারা গেছেন

প্রকাশিত: ৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩

সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

আব্দুস সাত্তার ভূঞার একমাত্র ছেলে মাইনুল হাসান তুষার তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বাবা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। শনিবার ভোর ৩টা ০২ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এদিকে প্রায় কাছাকাছি সময়ে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক বিমান মন্ত্রী শাহজাহান কামালও রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।

আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আব্দুল হামিদ ভূঞা ও মা রহিমা খাতুন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। এ ছাড়া দিনি দীর্ঘদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি পদে ছিলেন।

১৯৭৯ সালে কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও জুনের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে ৪ দলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে আবদুস সাত্তার আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন।

সবশেষ ২ জানুয়ারি ২০২৩ সালে তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কার হয়ে সংসদ সদস্য পদ হারালেও উপনির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে পুনরায় র্নির্বাচন করে বিজয়ী হন। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন। বিশ্লেষকরা এই উপনির্বাচনে ‘উকিল আব্দুস সাত্তার মডেল’ নির্বাচন হিসেবে আখ্যা দেয়।

Comments