আস্থা অর্জনে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা ইসির নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১:১৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮ স্টাফ রিপোর্টার: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সীমিত আকারে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে কতগুলো আসনে বা ভোট কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও চলতি বছরেই দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে ৫০ হাজার কেনা হচ্ছে। এদিকে ইভিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিতে পারে ইসি। জানা গেছে, একাধিক নির্বাচন কমিশনার সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচনে সঠিকভাবে ইভিএম ব্যবহার করতে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী থেকে দক্ষ লোক নেয়া হতে পারে। কমিশনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হলেও ব্যক্তিগত মত হচ্ছে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা আছে। তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনে এখনো ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সবেমাত্র একনেকে ইভিএম প্রকল্প পাস হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ রাখতে আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। জাতীয় সংসদে আরপিও সংশোধনী পাস হওয়ার পর ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ইভিএম প্রকল্প অনুমোদনের পর কীভাবে বিতর্ক এড়িয়ে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেয়া যায় সে বিষয়ে চিন্তা করছে কমিশন। তবে বড় পরিসরে না দিয়ে সীমিত আকারে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএমের সঠিক ব্যবহার করে সকল রাজনৈতিক দলের আস্থা অর্জন করতে চায় ইসি। এজন্য ইভিএম কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সহায়তায় সেনাবাহিনী নিয়োগের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, অনেকগুলো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি এসেছে। এসব দলের বেশির ভাগই ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের বিপক্ষে। তাই সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে যদি তাদের আস্থা বাড়ে সেক্ষেত্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণে বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগ নেই। ‘নির্বাচন ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা, সংরক্ষণ ও ব্যবহার’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দেড় লাখ ইভিএম কিনছে ইসি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে তিন হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রতিটি ইভিএমের মূল্য ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। /এমএম Comments SHARES জাতীয় বিষয়: আস্থা অর্জনে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা ইসির