বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিবেদন চাইবে নির্বাচন কমিশন

প্রকাশিত: ১:৫০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০১৮

একুশ নিউজ: নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের প্রতিবেদন চাইবে নির্বাচন কমিশন। খবর বিডিনিউজ।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্মসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, আগামী রোববারের মধ্যেই পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি পাঠানো হবে।

গত বুধবার দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণের সময় পুলিশ রাস্তা খালি করতে চাইলে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিএনপি কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

এতে বিএনপি কর্মী সহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। সংঘর্ষের সময় বিএনপি কর্মীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়।

ওই ঘটনায় ‍পুলিশ বাদি হয়ে বিএনপির বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর আকতারুজ্জামান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিনসহ দলটির দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে তিনটি মামলা করেছে।

একটি মামলায় গতকালকে বিএনপির প্রয়াত স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়র মেয়ে নিপুণ চন্দ্র রায় সহ ৭ জনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

ঘটনার পর থেকেই আওয়ামী লীগ বিএনপি পরস্পর দোষারোপ করে বক্তব্য রেখে আসছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ইসিকে বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে এই ঘটনার পরই ইসির সাথে বৈঠক করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বলেন, সরকার ভোটের পরিবেশ নষ্ট করছে।

মির্জা ফখরুল এই ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলে ইসিকে ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানায়।

এ ব্যাপারে ইসি কর্মকর্তারা জানান, পুলিশের কাছে দুই দিনের মধ্যে ঘটনার বিষয়ে প্রতিবেদন চাওয়া হবে। সেই সঙ্গে ভোটের পরিবেশ যাতে বিঘ্নিত না হয় সে দিকে নজর রাখতে বলা হবে।

এবং ঘটনায় সংশ্লিষ্ট নয় এমন ব্যক্তিদের অকারণে হয়রানি না করার নির্দেশ দেওয়া হবে।

ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশের কাছে পাঠানোর জন্য চিঠি প্রস্তুত করা হয়েছে। ইসির অনুমোদনের পরই রোববার তা পাঠানো হবে বলেও জানা যায় বিডি নিউজের এক প্রতিবেদনে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, যখন তফসিল ঘোষণা করা হয় তখন থেকে সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ জনপ্রশাসন নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত হয়।

সুতরাং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত। নির্বাচন কমিশন যেভাবে তাদের নির্দেশনা দেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেভাবে কাজ করবে।

/আরএ

Comments