বর্ষবরণে শ্লীলতাহানি, চার বছরেও শুরু হয়নি সাক্ষ্যগ্রহণ নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০১৯ একুশ ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনার চার বছর পূর্তি হচ্ছে এই পয়লা বৈশাখে। দীর্ঘ এই সময়ে অভিযোগ গঠন হলেও সাক্ষী না আসায় নিষ্পত্তি হচ্ছে না মামলা। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৮-এ আগামী ২৬ মে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য আছে। ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর মো. কামালকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এর আগে ২০১৭ সালের ২৭ জানুয়ারি চকবাজারের একটি বাসা থেকে মো. কামালকে গ্রেপ্তার করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। গ্রেপ্তারের পর কামালকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তিনি এখন জামিনে আছেন। ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার দাস এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে বলা হয়, এ ঘটনায় কোনো আসামিকে খুঁজে না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনা গোপন ও প্রকাশ্য তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চিহ্নিত আট যৌন হয়রানিকারীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এ ছাড়া তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে আট থেকে দশজন ব্যক্তি নারীদের শাড়ি ধরে টান দেয়। তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়। পরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩-এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারীদের লাঞ্ছনা করা হয়। পরে এ ঘটনাটির ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আট লাঞ্ছনাকারীকে শনাক্তের পর গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশ করে পুলিশ। তাদের ধরিয়ে দিতে লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারী ও শিশু আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) রেজাউল করিম বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়ার সাক্ষীদের প্রতি সমন ইস্যু করা হয়েছে। আগামী ২৬ মে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য আছে। ওই দিন সাক্ষী আসবেন বলে আশা করি।’ আসামি কামালের আইনজীবী আব্বাস উদ্দিন বলেন, সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় আসামি ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। বিআইজে/ Comments SHARES জাতীয় বিষয়: