চমেক হাসপাতালে সেবায় গাফলতি

প্রকাশিত: ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০১৯

ইমরান হোসাইন: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে দারোয়ান, সুইপার ও আনসারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ করেছেন হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।

বুধবার ( ২০মার্চ) দুপুরে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত।

গণশুনানিতে কোহিনুর আকতার নামে এক রোগীর স্বজন অভিযোগ করেন, হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগে গত শনিবার দুপুরে আমার মা শাকেরা বেগমকে ভর্তি করাই। ওইদিন সুইপার মহিউদ্দিনকে ওয়ার্ডে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে দেখেছি। এরপর সোমবার দুপুরে তিনি আমার মায়ের হাতে ইনজেকশন পুশ করেন। এতে আমার মায়ের হাত ফুলে যায়।

কক্সবাজারের পেকুয়ার বাসিন্দা ওয়াহিদুল ইসলাম এক আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনকে মারধরের অভিযোগ করে বলেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ওষুধ দিতে গেলে গেটম্যানের দায়িত্ব পালনকারী আনসার সদস্য টাকা ছাড়া প্রবেশে বাধা দেয়। টাকা না দেওয়াতে খারাপ ব্যবহার করেন। পরে কয়েকজন আনসার সদস্য আমাকে ডেকে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন।

একইভাবে ফেনীর সোনাগাজীর বাসিন্দা হেদায়েতুল ইসলাম অভিযোগ করেন, হাসপাতালের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের গেটম্যান টাকা ছাড়া প্রবেশ করতে দেয়নি। পরে টাকা দিলে ঢুকতে দেয়।

চিকিৎসা নিতে আসা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক কর্মচারী শুনানিতে হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের অবাধে যাতায়াত বন্ধের দাবি জানান।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বলেন, রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতীতেও রোগীর স্বজনদের অভিযোগগুলো তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, রোগীদের সেবা নিশ্চিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী হাসপাতালের সুনাম নষ্ট করার জন্য প্রতিনিয়ত নানাধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর।

এসময় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম, মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজল কান্তি দাশ, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. শাহজাহান, হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া, সেবা তত্ত্বাবধায়ক শিপ্রা চৌধুরী প্রমুখ।

এফএফ

Comments