গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ওষুধসামগ্রী ক্রয় বন্ধ নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৯:৪৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০১৯ রেজুয়ান খান রিকন, গাইবান্ধা: গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের প্রয়োজনীয় ওষুধ, প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং জরুরী বিভাগের গজ, ব্যান্ডেজ তুলাসহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয় বন্ধ। ফলে মঙ্গাপীড়িত এ জেলার দরিদ্র অসুস্থ মানুষেরা সুষ্ঠু চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকের প্রয়োজনীয় অনুমোদনের অভাবে হাসপাতালের এই ওষুধ ও চলতি অর্থবছরের এমএসআর সামগ্রী ক্রয় বন্ধ রয়েছে। অথচ এই জুন মাসের মধ্যে উল্লেখিত সামগ্রী ক্রয় করা না হলে এই অর্থবছরের বরাদ্দকৃত ফেরত যাবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। সেক্ষেত্রে এই জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় চরম সঙ্কট সৃষ্টি করা হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিধায় জনগণের স্বাস্থ্য সেবার স্বার্থে গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন অবিলম্বে মালামাল ক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালককে অনুরোধ জানিয়ে সম্প্রতি একটি পত্র প্রেরণ করেন। কিন্তু তাতেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য হাসপাতালের ওষুধ ও এমএসআর ৬টি গ্রুপের দরপত্র মূল্যায়নের রায় ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই প্রদান করে দরপত্র যাচাই বাছাই কমিটি। কিন্তু দরপত্রের শর্ত মোতাবেক ড্রাগ লাইসেন্সসহ ৭টি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ‘ক’ গ্রুপে ওষুধ সরবরাহের নিমিত্ত দরপত্র দাখিলকারীর আলেয়া কর্পোরেশনের দরপত্র অযোগ্য ঘোষণা করে। এতদসত্ত্বেও অযোগ্য ওই প্রতিষ্ঠানটি আপীল বোর্ডে আপীল করে। কিন্তু আপীল বোর্ড (সিপিবিইউ) শুধু ওষুধ সরবরাহের নিমিত্তে একটি গ্রুপে দরপত্র দাখিলকারী অযোগ্য আলেয়া কর্পোরেশনের আপীলের পরিপ্রেক্ষিতে ৬টি গ্রুপেরই ওষুধসহ সকল সামগ্রী ক্রয়ের পুনরায় নতুন করে দরপত্র আহ্বানের পরামর্শ প্রদান করে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে দরপত্রে যাচাই-বাছাই কমিটি কর্তৃক যোগ্য ঠিকাদাররা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট উক্ত আদেশ ৪ মাসের জন্য স্থগিত করেন (রিট নং ৬৯১/২০১৯)। এমএম/ Comments SHARES সারাদেশ বিষয়: