বড়দিনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পৃথক বাণী ও শুভেচ্ছা বিনিময়

প্রকাশিত: ৫:০০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮

একুশ ডেস্ক: আজ ২৫ ডিসেম্বর ‘শুভ বড়দিন’। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব আজ। এ দিনটিতেই পৃথিবীর বুকে এসেছেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। তাই খুশির এ দিনটি খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের জন্য উৎসবের বার্তা বহন করে। মানবতা ও কল্যাণের বার্তা পৌঁছে দিয়ে মানব জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতেই এ ধরায় জন্ম নিয়েছিলেন যিশুখ্রিস্ট।

বড়দিন উপলক্ষে আজ সারাদেশে সরকারি ছুটি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মাধ্যমে।

রাষ্ট্রপতি বড়দিন উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী গণভবনে ‘শুভ বড়দিন ২০১৮’ অনুষ্ঠানে ফুলেল ও নববর্ষের কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং বক্তৃতা দেন।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেছেন, পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই ছিল যিশু খ্রিস্টের অন্যতম ব্রত। বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য মহামতি যিশু নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলির জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকে এ দেশে সকল ধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে বসবাস করে আসছে। বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা রয়েছে। সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব ধর্ম পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে এদেশে সকল ধর্মীয় উৎসব আনন্দঘন পরিবেশে পালিত হয়।

উৎসবমুখর বড়দিনে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সকলের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে মানবতার মহান ব্রতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

শুভ বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বাণীতে তিনি বলেন, এ পৃথিবীতে মহামতি যিশু খ্রিস্টের আবির্ভাব ছিল এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। তিনি ছিলেন মানবজাতির মুক্তির দূত, আলোর দিশারী। পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে বহু ত্যাগের বিনিময়ে সৃষ্টিকর্তার মহিমা ও খ্রিস্টধর্মের সুমহান বাণী প্রচার করেন।

তিনি আরও বলেন, যিশু খ্রিস্ট পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান জানান। তিনি মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থানের শিক্ষা দেন।

জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিশু খ্রিস্টের শিক্ষা ও আদর্শ খুবই প্রাসঙ্গিক বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি কামনা করেন, শুভ বড়দিন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীসহ সকলের জন্য বয়ে আনুক অশেষ আনন্দ ও কল্যাণ। সবার জীবন ভরে উঠুক সুখ ও সমৃদ্ধিতে।

/সিএইচ

Comments