ভোলার চরফ্যাশনে কালবৈশাখী ঝড়ে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি বিধস্ত

প্রকাশিত: ৮:৩৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯

কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা: সোমবার সকালে হঠাৎ করে আঘাত হানা কালবৈশাখী ঝড়ে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় প্রায় তিন শতাধিক ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে।সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ের কারনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে গেছে ও অনেক ঘরের চালা উপড়ে নিয়ে গেছে এবং বিধস্ত হয়। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে।ঘর ও গাছের চাপা পড়ে অনেকে আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আলেকা বেগম, হালিমা বেগম কে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয়ভবে চিকিৎসা দেয় হয়েছে। উপজেলার রসুলপুর, জাহনপুর, চরমানিকা ইউনিয়নে বেশী ক্ষতিগস্ত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মো. রুুহুল আমিন
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.জহিরুল ইসলাম পন্ডিত বলেন, কালবৈশাখীী ঝড়ে রসুলপুর ইউনিয়নের প্রায় দেড় শতাধিক ঘর বািড় ব্বিধস্ত হয়েছে। ঘরের চাপা পরে অনেকে আহত হয়েছে। আহতদের কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকীদের স্থানীয়ভবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সমবেদনা
জানাতে রসুলপুর ইউনিয়নের ৮নং ও ৯নং ওয়ার্ডে পরির্দশন করেন। বিশেষ করে অনেক এলাকার আমের মুকুল ঝরে গিয়ে ক্ষতি সাধিত হয়েছে । অপরদিকে রবিশষ্য , যেমন-বোরো ধান, তরমুজ, আলু, মুগডাল, বাদাম সহ বিভিন্ন প্রকারের চাষীরা বৃষ্টির পানি পেয়ে খুশীর আমেজ  লক্ষ্য করা গেছে। হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় হওয়ায় আমের মুকুল ঝরে পড়েছে তাতে আমের ফলনের যে লাভের সম্ভাবনা ছিল তা আর হচ্ছেনা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, হঠাৎ বৈশাখী ঝড় হওয়ায় আমের মুকুল ঝরে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিন্তু রবিশস্য চাষীদের বৃষ্টি হওয়ায় ব্যাপক উপকার হয়েছে।

চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন বলেন, সোমবার সকালে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে অনেক ঘরবাড়ি বিধস্ত ও
জানমালের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। তিনি ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে বিভিন্ন এলাকা পরির্দশন করেন।

Comments