শিডিউল বিপর্যয়ে বেসামাল রেলওয়ে, ভোগান্তিতে ঘরমুখো মানুষ

প্রকাশিত: ২:০৪ অপরাহ্ণ, জুন ২, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফিরতে ট্রেন যাত্রীদের শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি।  প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে দেরিতে মিলছে কাঙ্ক্ষিত ট্রেন। কিন্তু রেলওয়ে কর্মকর্তাদের দাবি, ট্রেনে শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে না, ছাড়তে সামান্য বিলম্ব হচ্ছে মাত্র।

রবিবার (২ জুন) কমলাপুরে গিয়ে দেখা গেছে, যে ট্রেনটি স্টেশন থেকে সকাল ৬টায় রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা, সেটি সকাল ৯টার পরেও স্টেশনের ২ নম্বর প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল। পরে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা দেরিতে সকাল সাড়ে ৯টায় ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

অন্যদিকে, চীলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৮টায় কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ১১টা ৫০ মিনিটে স্টেশন ত্যাগ করে। এছাড়া, খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও তা ছেড়েছে সকাল ৮টায়।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রেনে শিডিউল বিপর্যয় নয় বরং যাত্রাপথ নির্বিঘ্ন করতে নির্ধারিত সময়ের কিছু পরেই ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। এজন্য যান্ত্রিক ত্রুটি, যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে দেরিকেই দায়ী করছেন তারা। তবে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ট্রেনের কিছুটা বিলম্বকে স্বাভাবিক ধরে নেওয়ার জন্য যাত্রীদের প্রতি অনুরোধও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

পশ্চিমাঞ্চলগামী নীলসাগর এক্সপ্রেসের চিলাহাটির যাত্রী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভোর ৪টায় ছাড়ার কথা ছিলো ট্রেনের। তাই সেহেরি খেয়ে স্টেশনে এসেছিলাম। এসে শুনি ট্রেন সকাল ১১টার দিকে ছাড়বে। এটা শোনার পর কেমন লাগে চিন্তা করেন। কিন্তু ১১টার কথা বললেও এখন পৌনে ১২টা বাজে, ট্রেন এখনও আসেনি। আর কতো অপেক্ষা করা যায়?’

এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার আমিনুল হক বলেন, ‘যে ট্রেনগুলো দেরিতে এসে কমলাপুরে পৌঁছেছে, সেগুলো ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে বেশিরভাগ ট্রেনই যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি, সব ট্রেন যেন যথাসময়ে ছেড়ে যেতে পারে। সব মিলিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে সার্বিক সহযোগিতার চেষ্টা করছি আমরা।’

এদিকে, অনেক প্রস্ততি সত্ত্বেও ঈদযাত্রার শুরুতেই ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তির শিকার হওয়ায় যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেছেন, সকাল ১০টা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে ১৮টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। তন্মেধ্য ১৪টি ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে। সুন্দরবন, ধুমকেতু ও রংপুর এক্সপ্রেসসহ চারটি ট্রেন ছাড়তে দেরি হচ্ছে। রংপুর এক্সপ্রেস সাত ঘণ্টা দেরিতে ছাড়বে। এজন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি।’

এমএম/

Comments