ফেসবুক-টুইটারে ‘গুজবে’ সরকারের সম্পৃক্ততায় ক্ষুব্ধ টিআইবি

প্রকাশিত: ৪:২৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮

অনলাইন ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ভুয়া সংবাদ প্রচারের সঙ্গে সরকার সংশ্লিষ্টদের সম্পৃক্ততার খবরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানায় জামার্ন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি।

গত ২০ ডিসেম্বর ভুয়া সংবাদ ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের দায়ে বাংলাদেশ কেন্দ্রিক মোট ৩০টি পেজ ও একাউন্ট অপসারণ করে ফেসবুক ও টুইটার কর্তৃপক্ষ। এসব পেজ ও অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সরকার-সংশ্লিষ্টদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় বন্ধ করে দেয় তারা।

বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ফেসবুকের বিবৃতিতে ভুয়া খবর প্রচারের মাধ্যমে এ ধরনের প্রচেষ্টাকে ‘সমন্বিত অসত্য আচরণ’ এবং টুইটারে ভুয়া খবর প্রচারের মাধ্যমে এ ধরনের উদ্যোগকে ‘সমন্বিতভাবে প্রচার মাধ্যমের বিভ্রান্তিকর ব্যবহার’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের বিপক্ষে ও সরকারের পক্ষে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য সংবাদ প্রচার করে জনমানুষের চিন্তাধারাকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টাসমূহকে অননুমোদিত ও অপব্যবহার উল্লেখ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক তদন্তে এর সঙ্গে জড়িতরা সরকারের সাথে সম্পর্কিত ও জড়িতদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকদের সাথে সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনার কথা বলে উল্লেখ করেছে ফেসবুক ও টুইটার কর্তৃপক্ষ। যা একদিকে অত্যন্ত বিব্রতকর ও নিন্দাজনক। অন্যদিকে বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় ষড়যন্ত্রমূলক অপব্যবহারের নগ্ন দৃষ্টান্ত এবং সুস্থ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যমের বিকাশের জন্য অশনি সংকেত।

ড. জামান আরো বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী, সুস্পষ্ট প্রমাণ সহ অভিযোগ আনা হলেও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে ফেসবুকের অবস্থান রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত কিনা এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে। যার ফলে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আদৌ কোন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা সেই সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

পাশাপাশি, এ অপরাধের সাথে কোন প্রাতিষ্ঠানিক সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা এরূপ প্রশ্নের উদ্বেগ করেছে। জড়িতরা রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কিত – এ ভয়াবহ অভিযোগের প্রেক্ষিতে দেশের জনগণকে দেয়া সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতির কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার করে দেশে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টির অতীত অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে ড. জামান বলেন, ভবিষ্যতে মানুষের চিন্তাধারা প্রভাবিত করার এরূপ অপপ্রয়াসের আশ্রয় নেয়া হবে না এই নিশ্চয়তা বিধানের দায়িত্ব সরকারের।

/সিএইচ

Comments