সোহানা হত্যা ও তথ্য গোপনের অভিযোগে সিভিল সার্জনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯

বিল্লাল হোসেন,যশোর প্রতিনিধি: যশোর শহরের লোন অফিস পাড়ার সোহানাকে হত্যা ও ময়নাতদন্তে তথ্য গোপনের অভিযোগে পিতা-সৎ মা ও সিভিল সার্জনসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা হয়েছে।

বুধবার নিহত সোহানার মা শাহিনা আক্তার বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেছেন। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আকরাম হোসেন অভিযোগটি গ্রহণ করে এ ব্যাপারে থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা; হয়ে থাকলে তার অগ্রগতিসহ প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে।

আসামিরা হলো শহরের লোন অফিসপাড়ার সালাউদ্দীন ও তার স্ত্রী পারভীন, শেখ সিরাজ উদ্দীনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম ও দুই ছেলে শেখ জালাল উদ্দিন, শেখ জসীম উদ্দীন, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডাক্তার বাবলু কিশোর বিশ্বাস ও সিভিল সার্জন ডাক্তার দিলীপ কুমার।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামি সালাউদ্দীনের সাথে শাহীনা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের ঔরসে সোহানার জন্মের ১২ বছর পরে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সোহানাকে তার পিতা যশোর শহরের লোন অফিসপাড়ার বাসায় এনে রাখে। এরপর সালাউদ্দীন দ্বিতীয় বিয়ে করার পর সোহানা তাদের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। একারণে সোহানা তার নানা বাড়ি মাগুরায় চলে যায়। সালাউদ্দিন ও তার লোকজন মাগুরা থেকে সোহানাকে ধরে আনতে গিয়ে মারপিট করে হত্যার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়। যা মাগুরা আদালতে বিচারাধীন আছে।

২০১৮ সালের ২৯ আগস্ট সোহানা আত্মহত্যা করেছে বলে তার পিতা সালাউদ্দীন কোতয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দেন। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে সোহানার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। সোহানার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেয়ে থানা পুলিশ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে আদালতে অপমৃত্যু মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। বিষয়টি সোহানার মা জানতে পেরে বুধবার আদালতে এই মামলা করেন।

/এসএস

Comments