সিরাজগঞ্জে বোরো আবাদে শ্রমিক সংকট, ধানের দামে হতাশ কৃষক

প্রকাশিত: ৬:০১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯

মারুফ সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় বোরো ধান রোপন শুরু হয়েছে। বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। বীজতলা থেকে শুরু করে চারা তোলা, ক্ষেত তৈরি এবং চারা রোপনে ব্যস্ত কৃষকরা।

রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের আব্দুর রউফ সরকার বলেন, এবার পাঁচ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। আরো বিঘা পাঁচেক লাগানো বাকি থাকলেও শ্রমিক সংকটের কারণে লাগাতে পারছিনা। একসঙ্গে সবখানে চাষাবাদ শুরু হওয়ায় পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। আর পাওয়া গেলেও প্রতি শ্রমিকে ৫০০ টাকার বেশি দিতে হয়।

আর আমরা ধানের ন্যায্য মূল্য পাই না। সার, শ্রমিকের দাম,পানি সহ সব কিছুরই দাম বেশি। এতে লাভের মুখ দেখা তো দুরের কথা যে টাকা বিনিয়োগ করেছি তা খরচ হয়তো উঠবে না।

তিনি আরো বলেন, কৃষকরা যাতে ধানের ন্যায্য মূল্য পায় এ ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ কামনা করছি।

বাড়াকান্দি গ্রামের আতাব আলী সরকার (৬০) বলেন, এবার বোরো আবাদ করবো পাঁচ বিঘা। সময়ের মধ্যে বীজতলা তৈরী হওয়ায় গতকাল থেকে শুরু করেছি চারা রোপনের কাজ। যদি শ্রমিক ঠিক মতো পাওয়া যায় তাহলে তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই চারা লাগানোর কাজ শেষ হবে। এরপর বাকি থাকবে সেচসহ অন্যান্য পরিচর্যার কাজ।

রসুলপুর গ্রামের আরেক কৃষক আজিজুর হক বলেন, আমার বোরো ধানের চারা লাগানো শেষ। কিন্তু ধানের দাম নিয়ে শষ্কা রয়েছে। সরকার যদি আমাদের ধানের ন্যায্য মূল্য দিতেন তাহলে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে আমরা সুখে থাকতে পারতাম।

সামাদ, আব্দুল গফুর ও খোকন মন্ডল নামে তিনজন দিন মজুর কৃষক বলেন, আমরা সব সময়ই ধানের চারা রোপন ও ধান কেটে থাকি। প্রতি ডিসিমালে ২০-২৫টাকা করে পাই। এতে ৪৫০-৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। আয়ের টাকা দিয়ে ছেলে-মেয়েদের লেখা পড়াসহ সংসারের সকল খরচ চলে ও কিছু সঞ্চয় হয়।

কামারখন্দ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত জানান, উপজেলায় এবার ৬হাজার৭৫০হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ লক্ষ্য মাত্রা নিধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাত ৬৫০ হেক্টর, উপশি ৭৪০ হেক্টর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। বীজতলা সবল আছে, সবল চারা থেকে আমরা অব্যশই ভালো ফলন আশা করবো। সেচ, সারের সংকট নেই। কয়েক বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন আশা করছি।

/আইকে

Comments