ধুলো-বালিতে সায়দাবাদ-এনায়েতপুর সড়কে জনজীবন ব্যহত

প্রকাশিত: ৬:৫৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯

সুজন সিকদার, সিরাজগঞ্জ: তাঁত সমৃদ্ধ সিরাজগঞ্জের (সায়দাবাদ-এনায়েতপুর) আঞ্চলিক সড়কটি অতি ব্যস্ত জনপদ হিসাবে সাড়া দেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। এর অন্যতম কারণ হিসাবে বিবেচিত হয় এই এলাকার তাঁত শিল্পের প্রসার।

দেশের যেকোন প্রান্তে গিয়ে নাম শোনা যায় এ এলাকার। এছাড়াও রয়েছে এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তর খাঁজা ইউনুস আলী হসপিটাল। খ্যাতি ও নাম জস হওয়ার ধরুন এই অঞ্চলিক সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয় রোগী ও চিকিৎসকদের। তাছাড়াও রয়েছে সড়কের পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েটি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার ও সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে ট্রাক, বাস, সিএনজি, অটোভ্যান, রিক্সা, মোটর সাইকেলসহ ইত্যাদি যানবাহন।

দীর্ঘ দিন যাতায়াতে দূর্ভোগ কাটানোর জন্য সরকার ২৪ কোটি টাকা ব্যায়ে সড়কের সংস্কার কাজ চললেও নেই কাজের কোন গতি। বিভিন্ন স্থানে রাস্তার কার্পেটিং খুরে বালি বের করে রেখেছে। এতে যানবাহন চলাচলের সময় ধুলোবালি উড়তে দেখা যায়। ধুলোবালি নাক-মুখ দিয়ে মানবদেহে প্রবেশ করে নানাবিধ সমস্যায় ভুগছে মানুষ।

সড়ক দিয়ে ধুলো-বালির কারণে ৫ ফুট দুরত্বে কি আছে তা চোখে দেখা যায় না। ধূলাবালিতে ঢেকে যায় সমস্ত জায়গা জুড়ে। মানুষ জন সড়ক দিয়ে চলাফেরা করতে গেলে নাকে মুখে ধূলাবালি দিয়ে ভরে যায়। অজ্ঞাত কারণে মাঝে মাঝে কোথাও কাজ করতে দেখা যায় না সড়কটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটিকে।

পথচারী ও ভ্যান রিক্সায় চলাফেরা করা যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের ভোগান্তির কথা। তারা বলেন, রাস্তার কাজ হয় দেখেছি কিন্তু এতো ধীর গতিতে! নাকি রাস্তার কাজের নামে আমাদের সাথে পুতুল খেলছে। কিছু জায়গায় কাজ করে আবার সেটা শেষ না করে অন্য জায়গায় কাজ শুরু করে। নাকি ধূলাবালি খাইয়ে আমাদের মেরে ফেলার ফাঁদ তৈরি করেছে।

আমরা দ্রুত এই ধূলাবালি থেকে মুক্তি চাই। বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার সাখায়াত হোসেন জানান, ধূলাবালির কারনে মানব দেহে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধিত হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নাক দিয়ে ধূলাবালি প্রবেশের ফলে ফুসফুসে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।

/সিএইচ

Comments