বিধিমালা ভঙ্গ করা ভবনের বিরুদ্ধে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০১৯

একুশ ডেস্ক: ডিএনসিসির এ মার্কেটে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সহনীয় নয়। রাজধানীতে যেসব ভবন তৈরি হয়েছে, সেটা একদিনে তৈরি হয়নি। তাই এসব অবৈধ ভবনকে উচ্ছেদ করতে কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু নতুন ঢাকায় আমরা যেসব স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দিচ্ছি, সেখানে রাজউকের পরিকল্পনার বাইরে চুল পরিমাণ যাওয়ার সুযোগ নেই। একেবারে পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলা হচ্ছে।

শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনসিসি মার্কেট পরিদর্শন শেষে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম একথা বলেন।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, রোববারের (৩১ মার্চ) থেকেই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কাজ শুরু করবে। ঢাকার যেসব বহুতল ভবন ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মেনে নির্মাণ করা হয়েছে, যেসব ভবনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নেই, তা চিহ্নিত করে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সিলগালা করে দেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, কোনো দুর্ঘটনাই ছোট নয়, মানবসৃষ্ট দুর্ঘটনাকে আমরা নিছক দুর্ঘটনা বলবো না, এটা পুরোপুরি হত্যাকাণ্ড। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর।

সুতরাং যারা অনিয়ম করে বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন তৈরি করেছেন, তাদের কোনো ছাড় নয়। এমনকি রাজউকের কেউ জড়িত থাকলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছি। কোথাও অনিয়ম হচ্ছে খবর পেলে সরাসরি আমাকে জানান। আমি সরাসরি ব্যবস্থা নেব। আমরা কাজ করার জন্য দায়িত্ব নিয়েছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবো।

এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফারুক খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে মার্কেটে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিটের চেষ্টায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিলো। প্রায় দুই বছরের ব্যবধানে ফের ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো।

এফএফ

Comments