বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি রাখার দায়ে তিন রোহিঙ্গা জঙ্গির কারাদণ্ড নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০১৯ বোমা বানানোর সরঞ্জামাদি উদ্ধারের মামলায় তিন রোহিঙ্গা জঙ্গির ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক রবিউল আলম এই রায় দেন। দণ্ডিত তিনজন হলেন নূর হোসেন ওরফে রফিকুল ইসলাম, ইয়াসির আরাফাত ও ওমর করিম। এদের মধ্যে ওমর করিম পলাতক। বাকি দুজনকে রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, আসামিরা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর লালবাগের এতিমখানা রোড এলাকা থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় পাঁচটি ডেটনেটর, জেল-জাতীয় বিস্ফোরক পদার্থ। এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের এস আই রাইসুল ইসলাম বাদী হয়ে লালবাগ থানায় মামলা করেন। এজাহারে বলা হয়, আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানান, নাশকতার জন্য তাঁরা একত্র হয়েছিলেন। আবদুল মজিদ, সালামত উল্লাহ, কবির, মোহাম্মদ আলম, শফি উল্লাহ, খালেদ, সাদিক হোসেন ও আমজাদ তাঁদের সব ব্যাপারে সহযোগিতা করে থাকেন। এসব লোকজন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পার্বত্য এলাকার বাসিন্দা। গ্রেপ্তার দুই আসামি জানান, তারা সবাই আরএসও, জিআরসি, এআরইউ ও ইসলামি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। যে বিস্ফোরক তাদের কাছে পাওয়া গেছে, তা দিয়ে বোমা বানানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। ভারতের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে জানা যায়। তদন্ত শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের এসআই আবদুল কাদের মিয়া তিন রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৩ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা আন্তর্জাতিক ইসলামি উগ্রপন্থী সংগঠনের সহায়তায় বাংলাদেশে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা করার কথা স্বীকার করেন। ভারতের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে। আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া বিস্ফোরক-জাতীয় পদার্থ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক, যা বড় ধরনের নাশকতামূলক কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৫ সালের ১২ জুলাই তিন রোহিঙ্গা নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। /আরএ Comments SHARES জাতীয় বিষয়: