রেল বহরে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক ২৫০ নতুন বগি নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০১৯ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের জন্য আসতে শুরু করেছে অত্যাধুনিক ২৫০টি নতুন বগি। এরমধ্যে ২০০টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ। নতুন এসব বগির অধিকাংশই পুরনো-মেয়াদোর্ত্তীণ বগির স্থলে সংযোজিত হবে। অবশিষ্টগুলো দিয়ে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে রেলবহরে নতুন ট্রেন যুক্ত হবে বলে জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশীদ। জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে সবচেয়ে বেশি ট্রেন চলে পূর্বাঞ্চলে। এ অঞ্চলের পুরোটাই মিটারগেজ। নতুন ২০০টি মিটারগেজ বগি যুক্ত হবে এই অঞ্চলে। আর পশ্চিমাঞ্চল পুরোটাই ব্রডগেজ। ওই অঞ্চলের জন্য আমদানি করা হচ্ছে ৫০টি ব্রডগেজ। বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে প্রতিদিন ১৫শ’ গাড়ি (ট্রেন)চলাচল করে। বতর্মান সরকারের আমলে দিনদিন সারাদেশের বিভিন্ন রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে। নতুন নতুন রুট হচ্ছে ট্রেনের। এ কারণে প্রতিবছরই আসছে নতুন নতুন বগি ও ইঞ্জিন। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, ২০২০ সালের মধ্যে দেশে রেল পরিবহন ব্যবস্থার চিত্র পুরোপুরি পাল্টে যাবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ জানান, নতুন ২৫০টি (মিটারগেজ ও ব্রডগেজ) কোচ আমদানি করা হচ্ছে। এরমধ্যে ২০০টি মিটারগেজ এবং ৫০টি ব্রডগেজ। এরমধ্যে একটি চালানে ১৫টি ব্রডগেজ বগি দেশে চলে এসেছে। চলতি মাসের ১০ তারিখ আসছে দ্বিতীয় চালানে ১৮টি ব্রডগেজ বগি। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে আরো একটি চালান আসবে। এছাড়া মে মাস থেকে আসতে শুরু করবে মিটারগেজের বগিগুলো। ওই মাসে আসবে মিটার গেজের ২২টি কোচ। জুন মাসে আসবে আরো ২২টি কোচ। সর্বমোট ৯ ধাপে সব কোচ চলে আসবে বলে জানান প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ। তিনি বলেন, যে কোচগুলো আসছে সেগুলোর আয়ুষ্কাল অনেক বেশি। এখন রেলবহরে ব্রডগেজ এবং মিটারগেজের যে কোচগুলো আছে সেগুলোর আয়ুষ্কাল ৩৫ বছর। নতুন যে কোচগুলো আমদানি করছি সেগুলোর আয়ুষ্কাল ৪৫ বছর। পূর্বাঞ্চলে সবগুলো মিটারগেজ। আর পশ্চিমাঞ্চলের সবগুলো ব্রডগেজ। প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ আরো জানান, বাংলাদেশ রেলওয়েতে এখন ১৫শ’ গাড়ি রয়েছে। এরমধ্যে ব্রডগেজ গাড়ি ৪২৮টি এবং মিটারগেজ গাড়ি ১১শ’। অধিকাংশ গাড়ির কোচ মেয়াদোত্তীর্ণ (ইকোনমিক লাইফ শেষ)। নতুন কোচগুলো দিয়ে নতুন গাড়ির পাশাপাশি জরাজীর্ণ মেয়াদোত্তীর্ণ কোচগুলো পরিবর্তন করে নতুন কোচ সংযোজন করা হবে। তিনি জানান, নতুন এই বগিগুলোতে বায়ো-টয়লেট যুক্ত থাকছে। প্লেনের মতো বায়ো-টয়লেট পদ্ধতি থাকায় রেললাইনে কোনো মলমূত্র পড়বে না। ফলে পরিবেশ যেমন দূষণ হবে না তেমনি ট্রেনগুলোও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও দূষণমুক্ত থাকবে। খুবই উন্নতমানের এসব বগি সহজে নষ্ট হবে না। এসব বাগিতে প্রতিবন্ধীদের জন্য স্পেশাল চেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে। সামনে টেলিভিশনের পর্দা থাকবে, ট্রেন কোথায় থামছে সেটি স্ক্রিনে দেখা যাবে। এর আগে দেশে এমন অত্যাধুনিক বগি আনা হয়নি বলে জানান প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ। তিনি বলেন, নতুন ২০০টি মিটারগেজ ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮০ কোটি টাকা। আর ব্রডগেজের ৫০টি বগি কেনার জন্য ব্যয় হবে ২১৩ কোটি টাকা। প্রতিটি বগির আমদানি মূল্য ৫ কোটি টাকা বলে জানান প্রকল্প পরিচালক। তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রেন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পিটি ইন্ডাস্ট্রি কেরেতা এপি (ইনকা) এসব বগি তৈরি করেছে। সেখান থেকে জাহাজে করে এগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হচ্ছে। /আরএ Comments SHARES সারাদেশ বিষয়: